মুর্শিদাবাদের বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে DYFI (ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া) পশ্চিমবঙ্গের ২০তম রাজ্য সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটি গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভাটি শুধু একটি সংগঠনিক বৈঠক নয়, বরং আগামী দিনের যুব আন্দোলনের জন্য এক নতুন দিশা স্থির করার উদ্যোগ হিসেবেও গণ্য হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন DYFI পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। তাঁর বক্তব্য ছিল গভীরভাবে অনুপ্রেরণামূলক। তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে যুবসমাজ এক চরম সংকটের মুখোমুখি। বেকারত্ব, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বেসরকারিকরণ এবং শ্রমিকশ্রেণির উপর ক্রমাগত শোষণ যুবসমাজকে বিপন্ন করে তুলছে। DYFI বরাবরই সাধারণ মানুষের দাবি নিয়ে লড়াই করেছে, এবং এবারও আমাদের সম্মেলন নতুন লড়াইয়ের সূচনা ঘটাবে। আমরা শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।”
সম্মেলনের প্রস্তুতি:
এই সভায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা DYFI নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সম্মেলনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সম্মেলনের সময়সূচি, কর্মসূচি এবং কার্যকরী পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা লক্ষ্যণীয় ছিল।
DYFI রাজ্য সম্মেলনটি যুব আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যুব প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করবেন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং নতুন কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করা হবে।
নতুন লড়াইয়ের বার্তা:
মীনাক্ষী মুখার্জি এদিন তাঁর বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, “আমাদের যুবসমাজ আজ নানাভাবে প্রতারিত। শিক্ষা ও কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত যুবসমাজের সামনে নতুন লড়াইয়ের দরজা খুলতে হবে। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হবে শোষিত মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য যুব শক্তিকে সংগঠিত করা।”
DYFI-এর ভূমিকা:
DYFI পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বেকারত্ব, কৃষক সমস্যা, শ্রমিক অধিকার এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে জনমুখী নীতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সম্মেলনের ভবিষ্যৎ দিশা:
এই রাজ্য সম্মেলন শুধু DYFI-এর অভ্যন্তরীণ সংগঠন নয়, বরং সমগ্র যুবসমাজের স্বার্থরক্ষার লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে। ভবিষ্যৎ আন্দোলনের জন্য এক নতুন দিশা নির্ধারণ করবে এই সম্মেলন।
DYFI-এর এই উদ্যোগ একদিকে যেমন যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আশার সঞ্চার করছে। সম্মেলনের সাফল্যের উপর নির্ভর করছে রাজ্যের যুব আন্দোলনের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা।