" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে দুর্গাপুরে সাংস্কৃতিক উৎসবে স্ফুলিঙ্গ | Salil Chowdhury Centenary Celebration in Durgapur //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে দুর্গাপুরে সাংস্কৃতিক উৎসবে স্ফুলিঙ্গ | Salil Chowdhury Centenary Celebration in Durgapur

 



দুর্গাপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫:

দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন "স্ফুলিঙ্গ" আগামী ২৯ মার্চ শনিবার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাবের মুক্তমঞ্চে বিকাল সাড়ে ছয়টা থেকে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে। অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত, লোক সংগীত ও গণসংগীত শিল্পী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার ও তার দলসহ যাদবপুর ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন।


সংগঠনের ইতিহাস:

১৯৬৮ সালের ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে দুর্গাপুরের প্রথম মহানাগরিক শ্রী রথীন রায়ের উদ্যোগে স্ফুলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি প্রগতিশীল গ্রন্থাগার, নাট্য ও সংগীত দল এবং ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭০-এর দশকের আধা-ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাস ও জরুরি অবস্থার কারণে সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও ১৯৮০-এর দশকে পুনরায় তা চালু হয়। সম্প্রতি নভেম্বর মাসে বিপ্লব দিবসে একটি কনভেনশনের মাধ্যমে স্ফুলিঙ্গকে পুনর্গঠিত করা হয়েছে।

সলিল সমারোহ উদযাপন কমিটি:

সলিল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাতে দুর্গাপুরে গঠিত হয়েছে সলিল সমারোহ উদযাপন কমিটি। এই কমিটিতে স্ফুলিঙ্গসহ শহরের অন্যান্য প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি যুক্ত রয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৯ মার্চ সকালে একটি হাফ-ম্যারাথনের আয়োজন করা হবে, যা দুপুরে তানসেন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

অনুষ্ঠানের আহ্বান:

স্ফুলিঙ্গের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ তরু চক্রবর্তী জানান, "সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে আমরা সকলের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ কামনা করছি। এই অনুষ্ঠান শুধু একজন মহান শিল্পীকে শ্রদ্ধা নিবেদনই নয়, বরং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার একটি প্রয়াসও বটে।"

দুর্গাপুরের বুকে সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন "স্ফুলিঙ্গ" এবং বামমনস্ক সাংস্কৃতিক সংগঠন "কুলিং"। এছাড়াও, শহরের অন্যতম প্রাচীন ফুটবল ক্লাব তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাবও এই কর্মসূচিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। আগামী ২৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানমালা গোটা বছর ধরে চলবে বলে জানানো হয়েছে।



কর্মসূচির বিস্তারিত:

২৯ মার্চ সকালে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এরপর দুপুরে তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে একটি হাফ-ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হবে। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশ নেবেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, লোকসংগীত শিল্পী এবং গণসংগীতের শিল্পীরা। এছাড়াও, যুবক-যুবতীদের মধ্যে সঙ্গীত চর্চা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একাধিক সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে সঙ্গীতপ্রেমী সকলেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।আজ তানসেন অ্যাথলেটিক ক্লাব প্রাঙ্গণে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ সুখময় বোস , সমাজকর্মী পূজন চক্রবর্তী এবং সাহিত্যিক কানাই বিশ্বাস । তারা এই কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।


অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য:

সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে। স্ফুলিঙ্গের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা কোনো কর্পোরেট অনুদান গ্রহণ করবে না। সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বিশেষ আকর্ষণ:

  • বসে আঁকো প্রতিযোগিতা
  • সঙ্গীত প্রতিযোগিতা
  • সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক উৎসব
  • হাফ-ম্যারাথন দৌড়


সলিল সমারোহ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "এই অনুষ্ঠান শুধুমাত্র সলিল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নয়, বরং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার একটি প্রয়াস। আমরা চাই এই উদ্যোগের মাধ্যমে যুবসমাজকে সঙ্গীত ও শিল্পের প্রতি উৎসাহিত করতে।"

এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুর্গাপুরের বুকে সলিল চৌধুরীর স্মরণে এক অনন্য সাংস্কৃতিক উৎসবের সূচনা হতে চলেছে। এই অনুষ্ঠান শুধু একটি উৎসবই নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies