কমরেড কালি সান্যালকে স্মরণে আবেগঘন সভা: সংগ্রামী জীবনের এক অনন্য উদাহরণ
জীবন-মরণের সীমানা ছাড়িয়ে কমরেড কালি সান্যাল পৌঁছে গেছেন মানুষের হৃদয়ে। আজ, দুর্গাপুরের ইস্পাত শ্রমিকরা গভীর শ্রদ্ধা ও আবেগে স্মরণ করলেন তাদের প্রিয় নেতা কালি সান্যালকে।
স্মরণ সভায় তার প্রাণচঞ্চল জীবনের কথা উঠে আসে বিভিন্ন বক্তার স্মৃতিচারণায়। সিআইটিইউ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, "বর্তমান সরকারের শ্রমিকবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন কালি সান্যাল।
প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় স্মরণ করিয়ে দেন, কিভাবে করণের সময় কালি সান্যাল দেশজুড়ে আটকে পড়া দুর্গাপুরের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
তার সতীর্থ এবং বর্তমানে এসডব্লিউএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক ললিত মিশ্র কালি সান্যালের আত্মত্যাগ এবং কিভাবে তিনি একজন প্রকৃত শ্রমিক নেতা হয়ে উঠেছিলেন, সে কথা তুলে ধরেন।
শ্রমিক নেতা এবং হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কনভেনর বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণ করান, কালি সান্যাল কিভাবে কারখানার অভ্যন্তরে নানা ত্যাগ স্বীকার করে ইউনিয়নকে সংগঠিত করেছিলেন এবং সবসময় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
স্মরণ সভায় তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা সান্যাল বলেন, "কালি সান্যালের সাহচর্যে জীবনের প্রতিটি কঠিন সময় পার করেছি। তার প্রেরণা আমাকে শক্তি দিয়েছে।" তার কন্যা আবেগে ভরা কণ্ঠে বলেন, "আমার বাবা আমাদের পথচলার প্রেরণা হয়ে থাকবেন।"
ভারতীয় গণনাট্য সংঘের পরিবেশনায় গণসংগীতের মাধ্যমে সভার সূচনা হয়। বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি এবং চোখের জল মুছে নেওয়ার দৃশ্য সভাটিকে আবেগঘন এবং স্মরণীয় করে তোলে।
কমরেড কালি সান্যালের সংগ্রামী চেতনা আগামী দিনের লড়াইয়ে শ্রমিকদের অনুপ্রেরণা জোগাবে—এমনই আশা প্রকাশ করেন সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।