কাঠমাণ্ডু, নেপাল – নেপাল একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছে, যেখানে দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি শুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছেন। যদি তার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়, তবে তিনি হবেন নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচনী প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে, দেশটিতে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে শুশীলা কার্কির নাম সামনে আসা রাজনৈতিক ও নাগরিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
সুশীলা কার্কি ২০১৬ সালে নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ন্যায়বিচার ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত ছিলেন। রাজনীতির বাইরে থাকা তার এই নিরপেক্ষ অবস্থান তাকে একটি গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে বিবেচিত করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
তবে এখনো পর্যন্ত তার নিয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট মহলের মধ্যে আলোচনা চলছে এবং একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে একজন নিরপেক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির প্রয়োজন রয়েছে, এবং শুশীলা কার্কির প্রোফাইল সে প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত হতে পারে।এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসন্ন দিনগুলোতে নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।