গত ৭৭ দিন ধরে গাজা ইসরায়েলের আরোপিত সম্পূর্ণ অবরোধের মুখে পড়েছে, যার ফলে মানবিক সাহায্য এবং অত্যাবশ্যকীয় সরবরাহের প্রবাহ মারাত্মকভাবে সীমিত হয়ে পড়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মতে, এই অবরোধ যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহারকে ব্যবহার করার সমতুল্য।
সরকারি মিডিয়া অফিস একটি কঠোর সতর্কবাণী জারি করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে সাহায্য আটকে রেখে গাজার জনগণের উপর সম্মিলিত শাস্তি প্রয়োগের অভিযোগ করেছে। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের সমালোচনা করে, এটিকে গণহত্যার কাজে সহযোগিতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই অবরোধ ইতিমধ্যে ভয়াবহ মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করেছে, যার ফলে দুই মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দা পর্যাপ্ত খাদ্য, জল, ওষুধ এবং বিদ্যুতের অভাবে রয়েছেন। গাজার হাসপাতালগুলো জ্বালানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের চরম ঘাটতির মধ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে, যা তাদের ধসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়েছে, এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো অবরোধ তুলে নেওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। তবে, এই সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা খুবই সীমিত অগ্রগতি লাভ করেছে।
অবরোধটি এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং সহিংসতার মধ্যে এসেছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া বিভক্ত রয়েছে। গাজার দীর্ঘায়িত দুর্ভোগ ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এবং অনেকে এটিকে মানবিক বিপর্যয় হিসেবে বর্ণনা করে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছেন।