নীলপুরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত স্মরণ সভানীলপুর বাজার মিলন সংঘের প্রাঙ্গণে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সাম্যের বার্তা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও সুকান্ত ভট্টাচার্যকে স্মরণ করা হলো। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ও সারা ভারত মহিলা সমিতির আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে মানুষে মানুষে বিভাজনের বিরুদ্ধে এই তিন মহান সাহিত্যিকের অবদানকে তুলে ধরা হয়। তাঁদের লেখনী ব্রিটিশ আমল থেকে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এবং আজও কতটা প্রাসঙ্গিক, তা অনুষ্ঠানে স্পষ্ট হয়।
সৃজনশীলতা ও প্রগতিশীলতার বিরুদ্ধে শাসকশ্রেণীর ষড়যন্ত্র
অনুষ্ঠানে আলোচনা হয় যে, শাসকশ্রেণী বারবার সমাজে সৃষ্টিশীলতা, প্রগতিশীলতা ও বৈজ্ঞানিক মনোভাবকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। ইতিহাস, পাঠ্যপুস্তক ও সমাজে বিকৃতি চাপিয়ে নতুন প্রজন্মকে বিপথে চালনার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই বার্তাকে কেন্দ্র করে ২৪ জন শিল্পী গান, নাচ, আবৃত্তি, সমবেত নৃত্য ও নাটকের মাধ্যমে তাঁদের সৃজনশীল উপস্থাপনা পেশ করেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও কৃতী সম্বর্ধনা
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মন্টু সাহা নতুনের বার্তা নিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ বছর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, সিবিএসই, আইএসসি ও অন্যান্য বোর্ডের ৬০ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রীকে সম্বর্ধিত করা হয়। সম্বর্ধনা প্রদান করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক শিব শংকর সাহা, বিকাশ চ্যাটার্জী, দেবাশীষ সেন এবং কলেজের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ ব্যানার্জীসহ অনেকে। এছাড়া শিক্ষক, ছাত্র, যুব, মহিলা ও কর্মচারী আন্দোলনের নেতা কমরেড অনির্বাণ রায় চৌধুরী, প্রবীর ভৌমিক, সুদীপ্ত গুপ্ত, সুদেব দাস, অরুণাভ মুখার্জী প্রমুখ সম্বর্ধনায় অংশ নেন।সমাজে আলোর বার্তা ও বামপন্থীদের ভূমিকা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিভাবকরা এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। নীলপুর অঞ্চলের ক্লাবগুলো বামপন্থীদের উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। প্রাক্তন ছাত্রনেতা কমরেড অমল হালদার, অপূর্ব চ্যাটার্জী, দীপঙ্কর দে প্রমুখ উপস্থিত থেকে কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করেন।





