দুর্গাপুরের শ্রমজীবীদের মনে হতাশা আর ক্ষীণ আশা, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জনসভা ঘিরে জল্পনা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন জনসভা নিয়ে দুর্গাপুরের শ্রমজীবী মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একদিকে বছরের পর বছর ধরে সরকারি কারখানাগুলির বেহাল দশা, বেসরকারিকরণ ও ছাঁটাই প্রক্রিয়া শ্রমিকদের মনে গভীর হতাশা তৈরি করেছে। অন্যদিকে মোদীর এই সফরে শহরের জন্য কিছু নতুন শিল্প প্রকল্প ঘোষণা হবে কি না, সেই ক্ষীণ আশাও রয়েছে।
একসময় দুর্গাপুর ছিল পশ্চিমবঙ্গের গর্বের শিল্পাঞ্চল। কিন্তু আজ এমএএমসি, বি ও জি এল, প্রভৃতি কারখানা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এএসপি বিক্রির চেষ্টা থামাতে শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছেন বটে, কিন্তু নতুন করে নিয়োগ বা আধুনিকীকরণের কোনো আশ্বাস এখনও পাওয়া যায়নি।
শ্রমিকদের একাংশ বলছেন, “প্রধানমন্ত্রী যদি অন্তত শিল্প বাঁচানোর প্রতিশ্রুতি দেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন কাজ পায়, সেটা শুনতে চাই। কিন্তু বিগত নীতিগুলি দেখে আশা করা কঠিন।”
অন্যদিকে বামপন্থী শ্রমিক নেতৃত্বরা বলছেন, “শুধু মঞ্চে বড় বড় কথা হবে, মজদুরদের বাস্তব সমস্যায় কোনো সমাধান আসবে না। বিজেপির নীতি তো শিল্প ধ্বংস আর বিক্রি করে দেওয়ার। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
ফলে মোদীর জনসভা ঘিরে শহরে সাজসাজ রব থাকলেও, শ্রমিক মহলে হতাশা ও ক্ষীণ আশার মধ্যে দোলাচল চলছে। দুর্গাপুর বাঁচবে কি না—এখনও তার উত্তর অজানা।