নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট, যাতে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, টিএমসি, ডিএমকে, এএপি, বাম দল, আরজেডি, এনসিপি, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স সহ ২৫টি বিরোধী দলের প্রায় ৩০০ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন, ১১ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে সংসদ ভবন থেকে নয়াদিল্লিতে ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) সদর দপ্তরের দিকে একটি প্রতিবাদ মিছিল করে। লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) বিরোধিতা এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে "ভোট চুরি"র অভিযোগ তোলা ছিল এই প্রতিবাদের মূল লক্ষ্য।
বিরোধী দলগুলো ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তাদের সুবিধা অনুযায়ী ভোটার তালিকা কারচুপি করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার অভিযোগ তুলেছে।
উচ্চ-পর্যায়ের এই প্রতিবাদ সত্ত্বেও, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে পদযাত্রার জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি চাওয়া হয়নি এবং ইসিআই অফিসের দিকে যাওয়ার রাস্তা আটকে ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল। পদযাত্রাটি সংসদের মকর দ্বার থেকে শুরু হয়েছিল এবং ইসি অফিসের দিকে ২ কিলোমিটারেরও কম পথ অতিক্রম করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপে এটি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইন্ডিয়া জোট তাদের নিজস্ব ব্যানার ব্যবহার করেনি যাতে এএপি-এর অংশগ্রহণ সহজ হয়, যারা সম্প্রতি জোট থেকে বেরিয়ে গেলেও এই মিছিলে যোগ দিয়েছিল।
কংগ্রেস একটি অনলাইন প্রচারণাও শুরু করেছে, যেখানে নাগরিকদের একটি ওয়েব পোর্টালে নিবন্ধন করে বা মিসড কল দিয়ে একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবি এবং "ভোট চুরির" বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সমর্থনে আহ্বান জানানো হয়েছে। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে ইন্ডিয়া জোটের সংসদ সদস্যদের জন্য পরবর্তী কৌশল নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করেন।
সংক্ষেপে, এই প্রতিবাদ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা, যেখানে বিরোধী দলগুলো বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন এবং ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কিত কথিত নির্বাচনী অনিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানাতে একত্রিত হয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী সততা ও স্বচ্ছতার জন্য দায়বদ্ধ করা।