কলকাতা: ১৩ আগস্ট, কলকাতার মার্কিন দূতাবাসের সামনে এক বিশাল বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, কর্মচারী ফেডারেশন এবং সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকে এই প্রতিবাদ অভিযানে বহু শ্রমিক, কৃষক ও কর্মচারী অংশ নেন। তাদের মূল দাবি ছিল, ভারতের অবাধ বাণিজ্য নীতির উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা এবং ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা গণহত্যা বন্ধ করা।
ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ
বিক্ষোভকারীরা প্রধানত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত-বিরোধী বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল যেখানে লেখা ছিল: "বিশ্বজুড়ে ভারতের অবাধ বাণিজ্য নীতির উপর ট্রাম্পের দাদাগিরি রুখে দাও" এবং "ভারতীয় পণ্যের উপর ট্রাম্পের একতরফা ৫০% শুল্ক চাপানো চলবে না"। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য ছিল, যদি ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসেন, তবে তিনি ভারতীয় পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক চাপাতে পারেন, যা দেশের অর্থনীতি এবং কৃষকদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
"নমস্তে ট্রাম্প" বন্দনার বিরুদ্ধে ধিক্কার
এই প্রতিবাদ অভিযানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর "নমস্তে ট্রাম্প" কর্মসূচিরও তীব্র সমালোচনা করা হয়। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, "'নমস্তে ট্রাম্প' বন্দনার হোতা মোদীকে ধিক্কার"। তাদের অভিযোগ, সরকার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু হয়েছে এবং দেশের স্বার্থের পরিবর্তে বিদেশি শক্তির তোষামোদ করছে।
গাজা গণহত্যা বন্ধের দাবি
প্রতিবাদকারীদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল মার্কিন মদতে ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা গণহত্যা বন্ধ করা। এই বিষয়ে তারা স্লোগান দেন: "মার্কিন মদতে ইসরায়েলি বাহিনীর 'গাজা গণহত্যা' বন্ধ করো" এবং "যুদ্ধবাজ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক"। বিক্ষোভকারীরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের আরও শক্তিশালী এবং স্বাধীন ভূমিকা পালনের দাবি জানান।
পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রতিবাদকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করেন এবং পরে দূতাবাস চত্বর থেকে সরে যান।