" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory দিল্লি পুনর্দখল: ব্রিটিশদের হাতে ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ দমন Delhi Falls: British Reclaim City, Crushing 1857 Rebellion //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

দিল্লি পুনর্দখল: ব্রিটিশদের হাতে ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ দমন Delhi Falls: British Reclaim City, Crushing 1857 Rebellion

দিল্লির পতন: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ

দিল্লির পতন: ব্রিটিশদের শহর পুনরুদ্ধার

ঔপনিবেশিক ভারতের ইতিহাসে এক নির্ণায়ক মুহূর্তে, ব্রিটিশ বাহিনী ১৮৫৭ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লি পুনরুদ্ধার করে। দীর্ঘ ও নৃশংস অবরোধের পর এই ঐতিহাসিক শহরটির পতন ছিল বিদ্রোহী বাহিনীর জন্য এক গুরুতর আঘাত এবং উপমহাদেশে ব্রিটিশ ক্ষমতাকে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করে।

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ

১০ই মে, ১৮৫৭

বিদ্রোহের সূচনা

মীরাটে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে এবং দ্রুত তা দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়ে। সিপাহীরা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

৮ই জুন, ১৮৫৭

অবরোধ শুরু

ব্রিটিশ বাহিনী শহরের বাইরে একটি শৈলশিরায় অবস্থান করে দিল্লি অবরোধ শুরু করে।

১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৮৫৭

চূড়ান্ত আক্রমণ

শহরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার পর ব্রিটিশ বাহিনী এক তীব্র আক্রমণ শুরু করে। সপ্তাহব্যাপী তুমুল লড়াই চলতে থাকে।

সেপ্টেম্বরের শেষভাগ, ১৮৫৭

দিল্লির পতন ও সম্রাটের নির্বাসন

ব্রিটিশরা দিল্লির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে গ্রেপ্তার ও রেঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়, যার মধ্য দিয়ে মুঘল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।

বিদ্রোহের মূল কারণসমূহ

নীচের বোতামগুলিতে ক্লিক করে ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের পিছনে থাকা বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জানুন। প্রতিটি কারণ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছিল।

রাজনৈতিক কারণ

"স্বত্ববিলোপ নীতি" এবং "দুঃশাসনের" অভিযোগে অযোধ্যার মতো রাজ্যকে জোরপূর্বক অধিগ্রহণের মতো ব্রিটিশ নীতিগুলি ভারতীয় রাজাদের গভীরভাবে আঘাত করেছিল এবং ঐতিহ্যবাহী ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করেছিল। মুঘল সম্রাটের মর্যাদার অবক্ষয়ও অসন্তোষ বাড়িয়েছিল।

দিল্লি অবরোধে হতাহতের চিত্র

এই চার্টটি দিল্লি অবরোধের সময় ব্রিটিশ ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে হতাহতের একটি আনুমানিক তুলনা তুলে ধরে। এটি এই সংঘাতের ভয়াবহ মানবিক মূল্যের একটি চিত্র প্রদান করে।

বিদ্রোহে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের ভূমিকা

👑

বাহাদুর শাহ জাফর

শেষ মুঘল সম্রাট

মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে প্রধানত একটি প্রতীকী কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যদিও তিনি প্রথমে অনিচ্ছুক ছিলেন, তিনি বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জন্য নামমাত্র নেতা এবং একতার প্রতীকে পরিণত হন।

নামমাত্র নেতৃত্ব ও ঐক্য:

সিপাহীরা দিল্লি দখল করে তাকে নেতৃত্ব গ্রহণে বাধ্য করে। তার অনুমোদন একটি শক্তিশালী সমাবেশ বিন্দু হিসেবে কাজ করে, কারণ বিদ্রোহীরা তাকে হিন্দুস্তানের সম্রাট ঘোষণা করে ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আশা করেছিল।

প্রভাব ও বৈধতা:

সম্রাটের অংশগ্রহণ বিদ্রোহকে এক ধরনের বৈধতা প্রদান করে, যা স্থানীয় নেতা ও দেশীয় রাজ্যগুলিকে এই আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহিত করে।

ফলাফল এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব

বিদ্রোহের দমন, বিশেষ করে দিল্লিতে, ব্যাপক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা এবং নৃশংসতার জন্ম দেয়, যার ফলে উভয় পক্ষে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই বিদ্রোহ এবং এর দমন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের বিলুপ্তি ঘটায়। এরপর ভারতকে সরাসরি ব্রিটিশ ক্রাউনের অধীনে আনা হয়, যা ঔপনিবেশিক শাসনের প্রকৃতিকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করে এবং প্রায় এক শতাব্দী ধরে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণকে আরও গভীর করে তোলে।

© ২০২৫। ঐতিহাসিক তথ্য প্রদর্শন। সমস্ত তথ্য প্রদত্ত প্রতিবেদন থেকে সংগৃহীত।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies