আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রদর্শনীমূলক উড়ান ভেনেজুয়েলার মূল ভূখণ্ড এবং কারাকাস-নিয়ন্ত্রিত দ্বীপপুঞ্জের দিকে বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি হলো, একটি মার্কিন নৌবাহিনীর এমএইচ-৬০আর সিহক হেলিকপ্টার একটি বিমানবাহী রণতরী থেকে উড্ডয়ন করে ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকার খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায় এবং মাইকুয়েতিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৃশ্যমান সীমার মধ্যে চলে আসে।
কারাকাসের পর্যবেক্ষকরা এই উড়ানকে ভেনেজুয়েলাকে উস্কানি দেওয়ার এবং মার্কিন সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে দেশটির প্রতিক্রিয়া যাচাই করার একটি ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায়শই এই ধরনের কার্যকলাপকে ‘নৌ চলাচলের স্বাধীনতা’ বা কৌশলগত প্রদর্শনী বলে ন্যায্যতা দিলেও, এই ক্ষেত্রে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমার কাছে নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়াকে সরাসরি সার্বভৌমত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভেনেজুয়েলা সরকার এর আগেও ওয়াশিংটনকে ক্যারিবিয়ানে উস্কানিমূলক সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং দাবি করেছে যে, এগুলো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা সর্বশেষ এই উড়ান সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, সাম্প্রতিক মহড়াগুলো পশ্চিম গোলার্ধে নৌবাহিনীর প্রস্তুতি বজায় রাখার জন্য বৃহত্তর অভিযানের অংশ।
আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে যে, এমন মহড়া এমন সময়ে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে যখন ওয়াশিংটন এবং কারাকাসের মধ্যে সম্পর্ক এখনও তিক্ত। ভেনেজুয়েলার সামরিক কর্মকর্তারা মার্কিন উড়োজাহাজটিকে বাধা দেওয়ার কোনো খবর দেননি, তবে স্থানীয় রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ক্যারিবিয়ানে ক্রমাগত শক্তি প্রদর্শন বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
এখানে একটি সামরিক হেলিকপ্টারকে উপকূলের কাছাকাছি উড়তে দেখা যাচ্ছে, যা বর্তমান পরিস্থিতিকে চিত্রিত করে।