স্টকহোম, সুইডেন — দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ঘোষণা করা হলো ২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের বিজয়ীর নাম। এই বছর এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হলেন হাঙ্গেরীয় ঔপন্যাসিক ও চিত্রনাট্যকার লাসলো ক্রাসনাহোরকাই (László Krasznahorkai)।
সুইডিশ একাডেমি তাঁর এই পুরস্কার প্রাপ্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে— "তাঁর বাধ্যতামূলক এবং দূরদর্শী সাহিত্যকর্মের জন্য, যা ধ্বংসাত্মক আতঙ্কের মাঝেও শিল্পের ক্ষমতাকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করে।"
সত্তরোর্ধ্ব এই লেখক তাঁর স্বতন্ত্র, ঘন এবং দার্শনিক গদ্যের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত। তাঁর সাহিত্যকর্মগুলি মূলত একটি অস্থির পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা, বিচ্ছিন্নতা, এবং অর্থের সন্ধানের মতো গভীর বিষয়গুলিকে অন্বেষণ করে। লাসলো ক্রাসনাহোরকাই-এর লেখার শৈলী অত্যন্ত দীর্ঘ, সর্পিল বাক্য এবং গভীর চিন্তাভাবনা দ্বারা চিহ্নিত, যা তাঁকে সমসাময়িক ইউরোপের অন্যতম দুরূহ এবং দূরদর্শী লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মগুলির মধ্যে রয়েছে:
স্যাটানটাঙ্গো (Satantango): এই উপন্যাসটিতে একটি ধসে পড়া গ্রামের ক্ষয় ও হতাশার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যা পরে একটি প্রশংসিত চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়।
দ্য মেলানকলি অফ রেজিস্ট্যান্স (The Melancholy of Resistance)
সিওবো দেয়ার বিলো (Seiobo There Below)
এই স্বীকৃতির মাধ্যমে ক্রাসনাহোরকাই দ্বিতীয় হাঙ্গেরীয় লেখক যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন। এর আগে ২০০২ সালে এই সম্মান পেয়েছিলেন ইমরে কার্তেজ। ক্রাসনাহোরকাই-এর রচনাগুলি যুগে যুগে ধ্বংসের ভয়কে ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি শৈল্পিক প্রকাশের স্থায়ী গুরুত্ব ও শক্তিকে পুনঃনিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবে বিবেচিত।