কাঠমান্ডু, – সম্প্রতি নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউনিফাইড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) বা এমালে'র সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে। সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে, এমালে তাদের সাংগঠনিক ভিত্তি সুদৃঢ় করতে এবং জনসমর্থন পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেছে। এর অংশ হিসেবে, তারা দেশব্যাপী একাধিক বৃহৎ সমাবেশের আয়োজন করছে।
এই ধারবাহিকতায়, চিতবন অঞ্চলে এমালে'র একটি বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এই সমাবেশগুলি দলের পুনরুজ্জীবিত সাংগঠনিক শক্তির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করছে।
ভরতপুর মহানগর কমিটির বর্ধিত সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তাবলী
আজ বুধবার, এমালে চিতবনের জেলা পার্টি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (এমালে) ভরতপুর মহানগর কমিটির বর্ধিত সভা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভায় বিভিন্ন সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
এমালে ভরতপুর মহানগর কমিটির সভাপতি শঙ্কর থাপলিয়া জানান, আগামী ১লা কার্তিক তারিখে এমালে চিতবন জাসংগঠন সংযন্ত্রের উদ্যোগে আয়োজিতব্য 'সদ্ভাব র্যা ালি' (সম্প্রীতি সমাবেশ) সফল করতে মহানগর কমিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, পার্টিকে তৃণমূল পর্যায় থেকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ওয়ার্ড কমিটিগুলোকে আরও সক্রিয় করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের জন্য পার্টির অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আর্থিক সহায়তা সংগ্রহের বিষয়েও সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে সভাপতি থাপলিয়া নিশ্চিত করেন।
শঙ্কর থাপলিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় এমালে কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা হরি সাপকোটা এবং এমালে চিতবনের সভাপতি কমল পাঠক বক্তব্য রাখেন। মহানগর কমিটির সম্পাদক অশোক গাওয়ালি সভা পরিচালনা করেন এবং সহ-সভাপতি দিলীপ নেউপানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। সভায় মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলা কমিটির পদাধিকারী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সাংগঠনিক সভা এবং জনসমাবেশের মাধ্যমে এমালে নেপালের রাজনৈতিক পরিসরে তাদের প্রভাব আরও জোরালো করার প্রয়াস চালাচ্ছে, যা আগামী দিনে নেপালের রাজনীতিতে সম্ভাব্য নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত বহন করে।