অনলাইন ডেস্ক
বিগত কয়েক বছরে পৃথিবী এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে। স্বজন হারানো আর্তনাদ, জনশূন্য শহর আর নিঃসঙ্গতায় ঘেরা সেই দিনগুলোর স্মৃতি আজও আমাদের বুকে হাহাকার তোলে। কিন্তু যদি বলা হয়, আপনার সেই ভয়, সেই আত্মত্যাগ আর সেই বিষাদ আসলে একটি সুপরিকল্পিত "পরীক্ষা" ছাড়া আর কিছুই ছিল না?
সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি আবেগঘন ও রহস্যময় ভিডিও ঠিক এই প্রশ্নটিই তুলে ধরেছে। ভিডিওটির প্রতিটি শব্দ যেন দর্শকদের হৃদয়ে এক অজানা শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে।
শৃঙ্খলিত স্বাধীনতা ও এক গোপন মহড়া
ভিডিওটি শুরু হয় এক গভীর আর্তনাদ মেশানো প্রশ্ন দিয়ে— "যদি বলি এই অতিমারি ছিল কেবলই একটি পরীক্ষা?" সেখানে দাবি করা হয়, আমরা যখন প্রাণের ভয়ে ঘরে বন্দি ছিলাম, তখন পর্দার আড়ালে চলছিল মানুষের আনুগত্য পরিমাপের এক বিশ্বব্যাপী মহড়া। ভিডিওতে আবেগঘন কণ্ঠে বলা হয়েছে, কী অনায়াসেই না আমরা আমাদের প্রিয়জনদের থেকে দূরে সরে গিয়েছিলাম, কীভাবে বিসর্জন দিয়েছিলাম আমাদের আজন্ম লালিত স্বাধীনতা।
লকডাউন আর মাস্কের আড়ালে মূলত আমাদের মানসিক শক্তি আর অবাধ্য হওয়ার ক্ষমতাকে মেপে দেখা হয়েছে বলে ভিডিওটিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যৎ কি আরও অন্ধকার?
ভিডিওটির সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক অংশ হলো এর শেষ বার্তাটি। সেখানে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষা এখানেই শেষ নয়। আমাদের প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যেই নথিবদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে হয়তো ভাইরাস নয়, বরং খাবার, বিদ্যুৎ কিংবা আমাদের বিশ্বাসের ওপর আঘাত হেনে নতুন কোনো "পরীক্ষা" চালানো হবে।
ভিডিওর দৃশ্যগুলো—একটি ছোট্ট শিশুর মাস্ক পরা মুখ কিংবা বন্দি দশা থেকে মুক্তির জন্য মানুষের আকুতি—দর্শকদের আবেগকে তীব্রভাবে নাড়া দিচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি শেয়ার করে অনেকেই লিখছেন, "আমরা কি তবে এক বিশাল অদৃশ্য খাঁচার বন্দি, যাদের ভাগ্য অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে?"
আবেগ বনাম বাস্তবতা
যদিও বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই ভিডিওটিকে নিছক একটি কল্পনাপ্রসূত তত্ত হিসেবে উড়িয়ে দিচ্ছেন, তবুও সাধারণ মানুষের মনে এই প্রশ্নটি গেঁথে গেছে—আমরা কি আসলেই নিরাপদ? নাকি আমাদের আবেগ আর জীবন নিয়ে চলছে কোনো এক বড় শক্তির পাশবিক খেলা?
ভিডিওটি দেখার পর নেটিজেনদের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক গভীর হাহাকার। অনেকেই বলছেন, সত্য যাই হোক না কেন, মানুষের বিশ্বাসের ওপর এই আঘাত সারা পৃথিবীর জন্য এক অশনিসংকেত।


