এভারেস্ট তুমি কার ? পর্ব -৩
লেখা - দেবাশীষ ঘোষ
সম্পাদনা-শংকর পাল
২০১৪ সালে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে শুরুটা খুব ভালো ভাবে শুরু হলেও ভয়াবহ তুষারঝড়ে ১৬+শেরপা ভাইদের দূর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে নেপাল সরকার উক্ত বছরের মতো মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান স্থগিত ঘোষণা করে।
২০১৫ সালে পূনরায় গৌতম ঘোষ সহ অন্যরা মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে যায় । সব ঠিকঠাক চলার পরেও ভাগ্যের নির্মমতায় ২৫/৪/২০১৫ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে নেপালের হিমালয়ের সমস্ত অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয় । এবার নেপাল সরকার মাউন্ট এভারেস্ট সহ অন্যান্য শৃঙ্গ অভিযান ২০১৫ সালে মতো স্থগিত ঘোষণা করে ।শুরু আবার স্বপ্ন জয়ের লড়াই আগামী ২০১৬ র জন্য ।
৭ই এপ্রিল ২০১৬ গৌতম ঘোষ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানের উদ্দেশ্য রওনা দেয় । কাঠমান্ডু থেকে লুকলা হয়ে নামতে বাজার হয়ে এভারেস্ট বেসক্যাম্পে ১৭/৪/২০১৬ পৌঁছায় ।
এজেন্সির কিছু গাফলতি ও উদাসিনতা কে মানিয়ে নিয়েও ।আবহাওয়া সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় অনুশীলন করতে করতে অবশেষে ১৯/৫/২০১৬ তারিখে শৃঙ্গ আরোহনের উদ্দেশ্যে রওনা । ২১/৫/২০১৬ তারিখ সকাল থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকে পশ্চিমবঙ্গের ১১ জন অভিযাত্রীদের স্বপ্নের শিখর মাউন্ট এভারেস্ট আরোহন করেছেন ।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু দূর্ঘটনার সংবাদ আসতে থাকে । বারবার ভিন্ন ভিন্ন খবর আসতে থাকে । আমরা কাঠমান্ডু তে এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকি কিন্তু কোন সঠিক উত্তর পাইনি ।
২৪/৫/২০১৬ আমাদের পরিবারের উদ্দোগে কাঠমান্ডু পৌঁছাই , এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকজন আধিকারিকরা কাঠমান্ডু পৌঁছায় , ততক্ষণে সারা ভারতবর্ষের মানুষ জানতে পেরেছেন (সবটাই সংবাদ মাধ্যমে) পশ্চিমবঙ্গ থেকে গৌতম ঘোষ, পরেশ নাথ, সুভাষ পাল, সুনীতা হাজরা নিখোঁজ । সুনীতা হাজরা বিদেশি অভিযাত্রীর দ্বারা নিরাপদে উদ্ধার হয়েছে , এবং কাঠমান্ডু নরবিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
