বিক্ষোভ হতে পারে এই আঁচ করেই দিল্লির বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয় , দিল্লি গেট ও জামা মসজিদ মেট্রো স্টেশন সম্পূর্ন রূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আইটিও চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়, এছাড়াও বিরাট সংখ্যক সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়।এত কিছু করেও বিক্ষোভ আটকাতে পারলো না দিল্লি পুলিশ।সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকে বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা।
এসএফআই দিল্লি কমিটির একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে বলে , অগ্নিপথ প্রকল্প "সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করবে" এবং "এই দেশে বেকার যুবকদের জন্য ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করবে"।এসএফআই দিল্লি কমিটির একটি বিবৃতি অনুসারে, অগ্নিপথ প্রকল্প "সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করবে" এবং "এই দেশের যুবকদের জন্য ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করবে"।
“সশস্ত্র বাহিনী এখন পর্যন্ত ভাল বেতন এবং অন্যান্য জীবন সুরক্ষা সহ একটি লাভজনক চাকরির বিকল্প সরবরাহ করেছে। অগ্নিপথ স্কিম, তবে, পেনশনগুলিকে সরিয়ে দেবে এবং জীবন বীমা প্রকল্পটিও স্কিমের অধীনে নিয়োগের চার বছরের সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে যারা প্রশিক্ষণ পাবেন তাদের মধ্যে মাত্র 25% স্থায়ী করা হবে এবং বাকিরা বেকার থাকবে। কি হবে যখন সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদের চাকরির নিশ্চয়তা ছাড়াই সমাজে ফেরত পাঠানো হবে?
বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হয়ে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিক্ষোভ অবস্থানে বসে পড়ে বাম সমর্থকরা।বিক্ষোভ থামাতে পুলিশের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলে পুলিশের অনুমুতি না থাকলে যেকোনো বিক্ষোভ সমাবেশ করে যাবে না মূলত যারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল তাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।দিল্লির ব্যস্ততম এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে , যার জেরেই বিক্ষোভ কিংবা জমায়েত এখন নিষিদ্ধ।পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও বাম ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ তাক লাগিয়েছে রাজনৈতিক মহলকে।



