এভারেস্ট তুমি কার ? পর্ব -৫
লেখা - দেবাশীষ ঘোষ
সম্পাদনা-শংকর পাল
দার্জিলিং এ PHURBA SHARPA সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । বারংবারPHURBA সাথে কথা বলা । পরিকল্পনা করা একবার দুবার নয় বারংবার কখনো টেলিফোনে , কখনো দার্জিলিং এ PHURBA র বাড়িতে বসে , কখনো নিউ জলপাইগুড়ির ধাবায় বসে আলোচনা । অবশেষে PHURBA sherpa সংস্থা FREANDS OF HIMALYA সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হই । গৌতম কে উদ্ধারের জন্য , ঠিক করা এজেন্সির উপর ভরসা করে ১০/৫/২০১৭ কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্য চললাম সঙ্গে গৌতমের বাল্যবন্ধু পর্বতারোহী কল্যান দেব । পরে আমাদের সঙ্গে সঙ্গ দেন তাপস কবিরাজ,অনিক চ্যাটার্জ্জী, বিজয় চক্রবর্তী
সে হার না মানা লড়াই , প্রতিমূহুত লড়াই যা স্বপ্নের ও অতীত গৌতম কে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই হবে ,ওর পরিবারের অন্যদের বাঁচাতে তাইতো পরিবারের সদস্যরা সমস্ত কিছু বাজী রেখে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে গৌতমের দেহ ফিরিয়ে আনতে পিছপা হয়নি ।
১৫/৫/২০১৭ কলকাতা থেকে ফোনে আমাদের জানালেন গৌতম ও পরেশের দেহ উদ্ধারের জন্য সরকারী প্রতিনিধি কাঠমান্ডু যাচ্ছেন ।এক হার না মানা জেদের জয় , অবশেষে সরকার গৌতম ও পরেশের দেহ উদ্ধারের উদ্ধারের রাজি হলেন । একপ্রকার বাধ্য হয়ে সন্মতি দেয়।চোখের সামনে অনেক ঘটনার সাক্ষী থেকে , অনেক উপদেশ মূলক হুমকির পরে 28/05/2017।যা লিখে শেষ করা যাবে না । মানসিক অত্যাচার । এক অন্য অনুভূতি যা স্বপ্নেরও অতীত।
চোখের সামনে সহযোদ্ধা' সহকর্মীদের পাল্টে যাওয়া চেহারাগুলো সামনে আসতে শুরু করলো ,গৌতম,পরেশকে উদ্ধার করে কাঠমান্ডু নিয়ে আসা হয় ১/৬/২০১৭ কলকাতায় ।২/৬/২০১৭ তারিখ বারাকপুর ও দূর্গাপুর রে গৌতম ঘোষ ও পরেশ নাথ কে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।অগ্নিসাক্ষী রেখে শুরু হলো এক অন্য লড়াই এক এক করে দীর্ঘ ছয় বছর চলার পরেও ছুটে চলেছি সত্যের অন্বেষণে । জানি না আরো কতটা পথ পেরোলে পাওয়া যাবে সত্যের সন্ধান ।
তবুও চলতেই হবে পথ যতই দুরত্বের কিংবা কঠিন হোক না কেন ,এই চলার পথে দেখে এলাম মুষ্টিমেয় কয়েকজন কর্মকর্তা , সহকর্মী , সহযোদ্ধাদের , যাদের অনেক চাওয়া পাওয়ার হিসেবে গুডবয় ইমেজ রক্ষা করতেই সত্য প্রকাশে অনীহা। পর্বতারোহণের ইতিহাসে পৃথিবীর অনেক অভিজ্ঞ বিখ্যাত পর্বতারোহীরা এভারেস্ট সহ বিভিন্ন শৃঙ্গে শান্তিতে চির নিদ্রায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। আমি ঐ সমস্ত প্রাতঃস্মরণীয় পর্বতারোহীদের প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি ঐ ঘটনা গুলির সঙ্গে ২০১৬ সালে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের পর্বতারোহীদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা গুলিয়ে ফেলা হয়তো ঠিক হবে না।
