" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো SWFI ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো SWFI ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং

কলকাতায় শ্রমিক ভবনে অনুষ্ঠিত হলো স্টিল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং কলকাতায় ,এমন সময় এই মিটিং যখন রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত ক্ষেত্র জুড়ে শ্রমিক অসন্তোষ এবং কিছু শ্রমিক সংগঠন ও আধিকারিকদের উপর ব্যাপক ক্ষোভ শ্রমিকদের। মিটিং এর শুরুতে সারাদেশের মেহনতি মানুষের সংগ্রামে পথ দেখিয়েছেন জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এমন বেশ কয়েকজন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ও বুদ্ধিজীবীর মৃত্যুতে ওয়ার্কিং কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে সংগঠন।।প্রয়াত শ্রমিক নেতা রাজদেও গোয়ালা, নিশা, রায়, প্রসাদ কেসর, মাল্লু স্বরাজ্যম, অবনী রায়, ভি সুব্বারমন, তাহমিনা, বিভা ঘোষ গোস্বামী, এম সি জোসেফাইন, আইজাজ আহমেদ এবং আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু। ওয়ার্কিং কমিটি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।এবং অন্যান্য সকল শহীদ যারা শাসক শ্রেণীর শোষণ, নিপীড়ন এবং বিভাজনমূলক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে জীবন দিয়েছেন। এছাড়া কাজ করতে গিয়ে ভিলাই এবং রৌরকেলা স্টিল প্ল্যান্টের যারা ভিতরে মারাত্মক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মিটিং শুরু হয় ।

SWFI-এর ৯ তম সম্মেলনের দুটি সাধারণ ধর্মঘটে অংশ নেয় সংগঠন। প্রচার, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সংগঠিত করার কাজে ঐক্যবদ্ধ রূপ দেখা গেছে শ্রমিকদের সেই কর্মকান্ডকে অভিনন্দন জানায় নেতৃত্ব। যৌথ ট্রেড ইউনিয়ন প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু ইউনিয়ন শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কাজের জন্য।

সাধারণ ধর্মঘটগুলি আমাদের ভারতের শ্রমিক শ্রেণীর মূলধারার আন্দোলনের সাথে এক হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। সর্বাত্মক চেষ্টা করেও আমরা ধর্মঘটে অংশগ্রহণের সংখ্যা না বাড়াতে পাড়ার পর্যালোচনা হয়েছে ।এছাড়া বিলগ্নিকরণ বিরুদ্ধে আন্দোলন সরকারের শ্রমিক বিরোধী মুখোশ খুলে গেছে।SAIL এবং RINL সহ সমস্ত PSU-কে বিক্রি করার সরকারের ষড়যন্ত্র ভালভাবে উন্মোচিত হয়েছে। মোদি সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যের বার্তা দিয়েছে নেতৃত্ব। গত তিন দশকে হরতাল- এবং আন্দোলন সরকার আরআইএনএল, সালেম, ভিআইএসএল এবং অ্যালয় স্টিলস প্ল্যান্টের বেসরকারীকরণে আর এগোতে পারেনি।

২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্রমাগত সংগ্রামের ফলস্বরূপ IISCO SAIL-এর সাথে ISP হিসাবে একীভূত হয়েছিল যেখানে ধর্মঘট ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। এতসব তথ্য থাকা সত্ত্বেও দেশকে বিপর্যয় ও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সব কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা হরতালকে আমরা সফল না করার কারণ হিসেবে প্রচারের ঘাটতির পাশাপাশি অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। ধর্মঘট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ইস্পাত শিল্পের শ্রমিকদের শ্রেণী চেতনা জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা প্রকট হয়েছে সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।শ্রমিকদের মধ্যে শ্রেণী চেতনা বাড়ানোর জন্য একাধিক কর্মসূচির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।প্রতিটি আন্দোলনের ক্ষেত্রে সমালোচনামূলক বিশ্লেষণের উপর জোর দিয়েছে নেতৃত্ব।

কোভিড পরিস্থিতিতে কর্মরত অবস্থায় অনেক শ্রমিকের প্রাণ চলে গেছে কিন্তু সরকারের কোভিড নীতির আওতায় তারা আসেনি উপরন্ত পরিবার পিছু চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের টালবাহানা সমালোচনা করা হয়।বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু, অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু সরকারের বেহাল স্বাস্থ্য নীতির ফল বহু মানুষকে ভুগতে হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সঙ্গে পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হয়।আলোচনায় অংশ নেন সিআইটিইউ এর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন , এবং এস ডাবলু এফ আই এর সাধারণ সম্পাদক ললিতমোহন মিশ্র এছাড়াও উপস্থিত  হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লয়ীজ এর পক্ষ থেকে বিশ্বরূপ বন্দোপাধ্যায়।আলোচনায় অংশ নেয় বহু প্রতিনিধি

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies