দীর্ঘ সময় ধরে বেতন চুক্তি লাগু করার ক্ষেত্রে টালবাহানা সেই সঙ্গে ঠিকা শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি এখনো আলোচনার টেবিলে।আন্দোলন করতে গিয়ে সেইলের অন্যান্য কারখানায় সাসপেন্ড হয়েছে কিছু শ্রমিক।অবিলম্বে তাদের কাজে যোগদানের দাবি জানানো হয় বিক্ষোভে।
কারখানার শিফট শুরুর মুহূর্তে এই বিক্ষোভে বহু শ্রমিক বিক্ষোভ অবস্থানে যোগ দেয়।বেশ কিছুক্ষণ স্লোগান চলার পরে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি বিজয় সাহা।তিনি বলেন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা খুবই উদাসীন, শ্রমিকদের প্রতি বেতন নিয়ে অসম্মানজনক প্রস্তাব প্রমান করে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি।কিছু ইউনিয়নে এর ভূমিকা ন্যক্কারজনক অবিলম্বে শ্রমিক ঐক্য গড়েই হকের পাওনা আদায় করতে হবে।
বক্তব্য রাখেন এস ডাবলু এফ আই এর সাধারণ সম্পাদক ললিত মোহন মিশ্র।তিনি বলেন কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে তাই দমনের পথে যাচ্ছে, ঐক্য থাকলে ভয় পাবে তারা।তাই শ্রমিকদের বেতন চুক্তি নিয়ে টালবাহানা হলে গোটা সেইলে প্রতিবাদ হবে ।হকের টাকা আদায় করতে হবে ,এবং যে সব ইউনিয়ন ম্যানেজমেন্টের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি।
কারখানার বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা গুরুপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেন।অবস্থান মঞ্চে শ্রমিক নেতা সুমনব্রত দাস নিজের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন এবং আরেক শ্রমিক নেতা মহেন্দ্র মুর্মু এর লেখা কবিতা পাঠ করেন সুমনব্রত দাস।
হিন্দুস্তান স্টিল এমপ্লইজ ইউনিয়ন ডি এস পি কনভেনর শ্রীমন্ত চ্যাটার্জি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের প্রতি যে বঞ্চনা করছে তার বিরুদ্ধে এই লড়াই।সময় এসেছে বুঝিয়ে দেওয়ার মুখে বুজে নয় রাস্তায় নেমে স্লোগানে প্রতিবাদ সংগঠিত হবে।আগামী ১৯ তারিখ কর্তৃপক্ষ মিটিং ডেকেছে বেতন চুক্তি নিয়ে , বকেয়া বেতন বাকি বাকি ঠিকা শ্রমিকদের বেতন চুক্তি কোনো ফয়সালা না হলে গোটা সেইল জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠবে।যে শ্রমিকের রক্ত ঘামের বিনিময়ে মুনাফা অর্জন তাদের বাদ যদি কর্তৃপক্ষ কারখানা সুষ্ঠ ভাবে চালানোর কথা ভাবেন তাহলে ভুল ভাবছেন।








