সংসদে এবার কিছু শব্দের নিষেধাজ্ঞা তাই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই।বিরোধীদের অভিযোগ কণ্ঠ রোধ করার নয়া ফরমান কেন্দ্রীয় সরকারের।একাধিক শব্দ যা শাসক দলকে বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে সেই শব্দ গুলি অধিবেশনে বাদ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন বিশেষ্য/বিশেষণ শব্দমালা এই মুহুর্তে অসংসদীয় বলে লোকসভা সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে। লোকসভার অভ্যন্তরে এসব শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা নম্বর টু-এর উচ্চারিত জুমলাও রয়েছে! এছাড়াও দুর্নীতিগ্রস্ত, অযোগ্য, স্বৈরাচারী, লজ্জাজনক, নাটক, অযোগ্য, চামচা, ভণ্ডামি, স্নুপগেট, মিথ্যা, অসত্য, গদ্দার, কালাবাজার, কেনবেচা, দালাল, কুম্ভীরাশ্রু, হেনস্থা ইত্যাদি এমন কিছু শব্দবন্ধ রয়েছে সেই লম্বা তালিকা!
বিরোধীদের অভিযোগ অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে দেশে একদিকে সরকার বিরোধী খবরের উপর নজরদারি এবং হস্তক্ষেপ ,এবার সংসদে সাংসদদের উপর কিছু শব্দের উপর নিষেধাজ্ঞা।বর্ষাকালীন অধিবেশন ১৮ জুলাই শুরু হতে চলেছে৷ কিন্তু এই অধিবেশনের আগে, লোকসভা সচিবালয় শব্দগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যা লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়েই অসংসদীয় বলে বিবেচিত হবে।
এখানে অসংসদীয় হিন্দি শব্দের সম্পূর্ণ তালিকা রয়েছে:
-শকুনি - তিনি ছিলেন মহাকাব্য মহাভারতের অন্যতম প্রধান বিরোধী
তানাশাহ - একনায়ক
-তানাশাহী - একনায়কতন্ত্র
-জয়চাঁদ - তিনি ছিলেন দ্বাদশ শতাব্দীর একজন রাজপুত রাজা। তিনি ছিলেন একজন বিশ্বাসঘাতক যিনি ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে মুহম্মদ ঘোরির আক্রমণকারী আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ চৌহানকে (পৃথ্বীরাজ তৃতীয়) পিঠে ছুরি মেরেছিলেন।
-বিনাশ - ধ্বংস
-পুরুষ - পুরুষ
-জুমলাজীবী - এমন কেউ যে জাল বিবৃতি তৈরি করে
-বাল বুদ্ধি - কিডস চিন্তা
-কোভিড স্প্রেডার - এমন কেউ যিনি কোভিড-১৯ ভাইরাস ছড়াচ্ছেন
- স্নুপগেট
এই ঘটনায় কংগ্রেস তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে , সর্বদলীয় সভা না ডেকে এই ধরণে পদক্ষেপ গণতন্ত্র বিরোধী।এই ঘটনা প্রকাশ করছে সরকার বিরোধী কন্ঠ দমাতে কতটা সক্রিয়।সিপিআইএম এর তরফ থেকে বলা হয় সংসদ গণতন্ত্রের পীঠস্থান যেখানে সরকারের জন বিরোধী নীতির সমালোচনা দেশের গণতন্ত্রকে প্রসারিত করবে সেখানে এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্রের প্রসার রুদ্ধ করবে।
