তৃণমূল আক্রমন করেন অশীতিপর বৃদ্ধের উপর শেষমেষ নগ্ন করে হাটানোর প্রয়াস থেকে বাঁচতে পরিবারের সদস্যদের সম্ভ্রম বাঁচাতে কান ধরে ওঠবস করে বলেছিলেন তিনি আর সিপিআইএম করবেন না।সেই ভিডিও কার্যত গোটা বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি করে ।২০১৫ সালের ঘটনা সেদিন অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো রাজনৈতিক জীবনের ইতি টানছেন ধীরেন লেট।
সেই আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণিত করে আজ ময়ূরেস্বরে লাল ঝান্ডার বিশাল মিছিল সংগঠিত হয় অবশ্যই মধ্যমনি তিনি। এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি , শত হুমকি অগ্রাহ্য করে এলাকায় বাম সংগঠনের বিস্তার ঘটিয়েছেন যাকে বলে বুড়ো হারের ভেলকি।যখন রাজ্যের মিডিয়ার হেডলাইন হয় দল বদলের হিড়িক ,তখন এই ধরণের মানুষ দৃষ্টান্ত তো স্থাপন করবেই।মিডিয়ায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে অনেক আলোচনা হয় কিন্তু কোনোদিন এই মানুষ গুলির উপর অত্যাচার কোনো ধরনের শিষ্টাচার তা নিয়ে কখনোই আলোচনার বিষয় হয় না।বাড়িতে আর্থিক সংকট কোনো কিছুই তাকে দমাতে পারেনি , তার মধ্যেই আজ কৃষক সমাবেশে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা দেবলীনা হেমব্রমের হাতে তুলে দিলেন ১১০০০ টাকা ।
জানেন কি কারণে ? বামপন্থার মতাদর্শ প্রচারের স্বার্থে গড়ে ওঠা জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টার তহবিলে। একজন হার না মানা সৈনিকের এই ভূমিকাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে এলাকার মানুষ।রুচিহীন আদর্শের ভিড়ে ধীরেন লেট যেন একটুকরো বিশুদ্ধ নিশ্বাস।



