" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory ইডি এর কাজকর্মের পরিধি বিতর্কের উর্ধে? //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

ইডি এর কাজকর্মের পরিধি বিতর্কের উর্ধে?

ই ডি এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেট যে সংস্থা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড়, যার কাজ নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে।বিরোধীদের অভিযোগ এই সংস্থাকে ব্যবহার করছে শাসক দল বিরোধীদের কন্ঠস্বর দমানোর লক্ষ্যে।এখন দেশের মানুষের কাছে প্রশ্ন ইডি এর কাজ এর পরিধি কতটুকু তাদের কাজের ক্ষেত্র কতটা? এই লেখায় উঠে আসবে ইডি এর কাজ। আন্তর্জাতিক ড্রাগ মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণ করতে যে সংস্থার সৃষ্টি সেই সংস্থার কাজের পরিধি বেড়েছে যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০২ (PMLA): এটি একটি ফৌজদারি আইন যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ করতে এবং অর্থ-পাচার থেকে প্রাপ্ত বা জড়িত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য এবং এর সাথে সম্পর্কিত বা এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলির তদন্ত হয়। ED কে অপরাধের আয় থেকে প্রাপ্ত সম্পদের সন্ধানের জন্য তদন্ত পরিচালনা করে, সম্পত্তিটি অস্থায়ীভাবে সংযুক্ত করার এবং অপরাধীদের বিচার এবং বিশেষ আদালতের দ্বারা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য PMLA-এর বিধানগুলি কার্যকর করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৯৯ (FEMA): এটি একটি নাগরিক আইন যা বহিরাগত বাণিজ্য এবং অর্থপ্রদানের সুবিধার্থে এবং ভারতে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের সুশৃঙ্খল বিকাশ এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সম্পর্কিত আইনগুলিকে একীভূত ও সংশোধন করার জন্য প্রণীত হয়েছে। ED-কে বৈদেশিক মুদ্রার আইন ও প্রবিধানের সন্দেহজনক লঙ্ঘনের তদন্ত পরিচালনা করার, আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযুক্তদের বিচার ও জরিমানা আরোপ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী আইন, ২০১৮ (FEOA): এই আইনটি অর্থনৈতিক অপরাধীদের ভারতীয় আদালতের একতিয়ারের বাইরে থেকে ভারতীয় আইনের প্রক্রিয়া এড়ানো থেকে বিরত রাখার জন্য তৈরি হয়েছিল। এটি এমন একটি আইন যেখানে অধিদপ্তরকে পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধীদের সম্পত্তি সংযুক্ত করতে বাধ্য করা হয়েছে যারা গ্রেফতারের পরোয়ানা দিয়ে ভারত থেকে পালিয়ে গেছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা করে।

এই তিনটি বিষয় নিয়ে ইডি এর কর্মক্ষেত্র যেটা সামনে রেখে তোপ দেগেছে কংগ্রেস , তাদের অভিযোগ ইডি কে ব্যবহার করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে।ইডি এর মতন সংস্থার কার্যকারীতা নিয়েই প্রশ্ন উঠলো।দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে পত্রিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা সেই পত্রিকা ২০০৮ সালে আর্থিক কারণে বন্ধ হয়ে যায় , কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্ব এই সংস্থা টি বাঁচানোর চেষ্টা করে, তৈরি হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়া ২০১০ সালে সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে।সেই সময় সেই সংস্থার পরিচালন বোর্ডে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। ২০১৬ সালে শুরু হয় ডিজিটাল ভার্সন যদিও জৌলুশ হারিয়ে যায়। ২০১১ সালে বিজেপি এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করে দেশের বিভিন্ন শহরে ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিস অধিগ্রহণ করে ইয়ং ইন্ডিয়া।সেই অধিগ্রহণে বে আইনি ভাবে অধিগ্রহণ করা হয় ।

আয়ের সাথে সংগতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ ওঠে ইয়ং ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে।যদিও বারবার গান্ধী পরিবার থেকে বলা হয় এটি অলাভজনক সংস্থা তার সমর্থনে কিছু কাগজপত্র দেখানো হয়।তা সত্ত্বেও জেরা হয় তাদের দুজনের বিরুদ্ধে , আর এখানেই কংগ্রেসের অভিযোগ একটি মিথ্যে মামলা যার সাথে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনো প্রশ্ন নেই সেই বিষয় নিয়ে তদন্ত করে সময়ের অপচয়।ইডি এর কাজ কর্মের সাথে রাজনৈতিক অভিসন্ধি এর অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।

অন্যদিকে ইডির তদন্তে রাজ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আয়ের বহির্ভুত সম্পত্তির হদিস সেটার বিষয়ে ইডি এর তদন্তের একতিয়ারের ঘিরেও উঠছে প্রশ্ন ? যেখানে আয়কর বিভাগ,ফেমা ,তাদের সংযুক্ত না করে ইডির একক তদন্ত কি আসল তথ্য জানতে ব্যর্থ হবে ? এই নিয়েই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।তাহলে কি মুকুল রায়ের মতন ক্লিন চিট পেতে চলেছেন তিনিও ?হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে উদগ্রীব রাজ্যের মানুষ তার মধ্যেই উদ্ধার কোটি কোটি টাকা তদন্তের গতিপথ কোনদিকে জানতে হলে কিছুদিনের অপেক্ষা করতেই হবে রাজ্যের মানুষদের।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies