নয়াদিল্লি: ৪টি লেবার কোড বা শ্রম বিধির বিরুদ্ধে ফের রাজপথে নামল সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস (CITU)। সংগঠনের দিল্লি এনসিআর (Delhi NCR) শাখা কেন্দ্র সরকার ও পুঁজিপতি শ্রেণির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, শ্রমিকের অধিকার হরণের এই চক্রান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সংগঠনের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি— "আভি তো লি অঙ্গড়াই হ্যায়, আগে ঔর লড়াই হ্যায়।"
১৮৮৬ সালে শিকাগোর শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার আদায়ের ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও মহান আত্মবলিদানের প্রসঙ্গ টেনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ পর্যন্ত শ্রমিক শ্রেণি যা কিছু অর্জন করেছে, তা মালিক শ্রেণির দয়ায় নয়, বরং ব্যাপক ঐক্য, নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়েই অর্জিত হয়েছে।
সিআইটিইউ নেতৃত্বের অভিযোগ, মোদী সরকার কর্তৃক ৪টি লেবার কোড কার্যকর করার প্রচেষ্টা আসলে শ্রমিকদের রক্তঝরা আন্দোলনের ফসলকে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া। একে সরাসরি 'শ্রমিকদের অর্জিত অধিকারের ওপর পুঁজিপতি শ্রেণির ডাকাতি' বলে অভিহিত করেছে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, শাসন ও প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে বা শোষণ চালিয়ে শ্রমিক শ্রেণিকে দমানো যাবে না। শ্রমিকরা অতীতেও ভয় পায়নি, ভবিষ্যতেও পাবে না। অধিকার আর ভিক্ষা চেয়ে নয়, এবার পুঁজিপতি শ্রেণির হাত থেকে লড়াই করে ছিনিয়ে নেওয়া হবে।
বিজেপি পরিচালিত মোদী সরকার এবং দিল্লি প্রশাসনের (রেখা গুপ্তা) উদ্দেশ্যে সিআইটিইউ-এর সাফ দাবি, অবিলম্বে এই ৪টি জনবিরোধী লেবার কোড প্রত্যাহার করতে হবে। আন্দোলনের ঝাঁঝ বুঝিয়ে দিয়ে রামপ্রসাদ বিসমিলের সেই ঐতিহাসিক পঙক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সংগঠনটি—
"সরফরোশি কি তামান্না আব হামারে দিল মে হ্যায়,
দেখনা হ্যায় জোর্ কিতনা বাজু-এ-কাতিল মে হ্যায়।"
লড়াইয়ের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোরদার করার ডাক দিয়েছে সিআইটিইউ দিল্লি এনসিআর।