বেশ কিছুদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছিল রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে কিন্তু সে কথায় কর্ণপাত না করে দমনের রাস্তায় হাটে শাসক শ্রেণী।এরই মধ্যে দেশের জ্বালানি তেলের ভান্ডার একদম তলানিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ।কলম্বো দখলের ডাক দেয় বিরোধী দলগুলি।গোটা দেশের মানুষের কাছে আহবান ছিল কলম্বো আসতে , এই সমাবেশ ঠেকাতে তৎপর ছিল প্রশাসন দেশের সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়।সমাবেশ আটকাতে সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।কিন্তু জনগণের চাপে রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে।সেই সঙ্গে সমস্ত বাস দখল করে তেল ভরিয়ে কলম্বো মুখী করানো দেশের মানুষকে।
এরই মধ্যে খবর আসে সরকারি বিরোধী বিক্ষোভে হামলা সংগঠিত করে শাসক পক্ষের লোক।আগুনে ঘৃতহুতি পরে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের সমাবেশ রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে,সমাবেশ ভাঙতে গুলি চলে প্রায় ২০ জনের মৃত্যু বহু মানুষের আহত ।লোকের মেজাজের কাছে হার মানে প্রশাসন, ব্যারিকেড ভেঙে পড়ে মানুষ প্রবেশ করে রাষ্ট্রপতি বহন যদিও তৎপরতার সাথে রাষ্ট্রপতি বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যায়।
যদিও উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধামন্ত্রী রনিল বিক্রামসিংহে জরুরি ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছেন।দেশ জুড়ে কারফিউ কার্যত ভেঙে পড়েছে, বিরোধীদের চাপে সমস্ত কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে।পলাতক রাষ্ট্রপতি কোথায় এই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি দেশের সেনাদের কাছে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।বিক্ষোভে রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যে ঢুকে তছনছ করে হয় এমনকি রাষ্ট্রপতির সমস্ত ঘরোয়া জিনিষ লুঠ করা হয়।
গোটা বিশ্বের কাছে এখন একটাই আলোচনা গণ অভ্যুত্থানের পর দেশ কোন পথে।




