শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসভা করছে সেই সভাগুলোতে উপচে পড়া ভিড় প্রমান করছে নাগরিকদের ক্ষোভ।শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেহাল পরিষেবার সাথে যুক্ত হয়েছে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ব।কখনো পিটিয়ে খুন করা তোলা আদায় হুমকি সব কিছুই চলছে শহর জুড়ে।বামেদের পরিষ্কার বার্তা এই সব বন্ধ করার নাগরিকদের কাছে তাদের আবেদন শহর বাঁচাতে পথে নামুন।দুর্গাপুর শহরে শিল্পের বেহাল দশা বেকারের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে সেই সঙ্গে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দুর্গাপুর নগর নিগমের কাছে বারবার ডেপুটেশন দিয়েও কোনো সুরাহা হয় নি।এবার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বামেদের সভা যা কার্যত জনসভায় রূপান্তরিত হচ্ছে।
এরকমই এক দুর্গাপুরের শ্যামপুরে সংগঠিত হলো জনসভা সিপিআইএম পূর্ব ২ নং এরিয়া কমিটির উদ্যোগে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডি ওয়াই এফ আই এর রাজ্য যুব সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি।জনসভা কার্যত জনপ্লাবনে ভেসে গেছিলো।মাঠের আয়তনের থেকে মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। শ্যামপুরে মাঠ ছিল আজ শপথের, উন্নত পুর বোর্ডের পাশাপাশি শহরের ঐতিহ্য রক্ষার শপথ।
সভার শুরুতে শহরের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী লহরীর গানের তালে তালে উত্তাপ বাড়িয়ে তোলে সমাবেশস্থল।এরপরে আদিবাসী নৃত্য যা সভাস্থল আরো প্রাঞ্জল করে তোলে।সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন লুঠ সন্ত্রাস করে মানুষের রায় কে পদদলিত করে গঠিত হয়েছে এই পুর বোর্ড তাই মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা হারিয়েছে।শহর বাঁচাতে এই পুর বোর্ড বদল জরুরি , সমাজবিরোধীদের জঙ্গলরাজ মুক্ত করতে শহরের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সেই লক্ষ্যে রাস্তায় থাকবে বামেরা ।শহরের মানুষদের প্রতি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াইয়ের ডাক ।ভোট লুঠেরদের নায়কদের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরবাসী ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মীনাক্ষী মুখার্জি সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সাথে সাথে সভার পারদ মঞ্চ এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায় ,তিনি বলেন কয়লা চুরি , ভোট চুরি , শাসক দলের পরিচয় সেই পরিচয়ে বাঁচতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।তাই প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হয় মহিদুল ,আনিস, সুদীপ্ত রা, তাদের রক্তে শপথ নেওয়ার সময় প্রতিরোধের।বিজেপি ও তৃণমূলের উভয় দলের সাম্প্রদায়িক নীতির সমালোচনা করে বলেন একদিকে বিজেপির নুপুর শর্মা আরেকদিকে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র উভয়ের ঘৃনার বক্তব্য ঐক্যকে বিনষ্ট করছে , তাদের মুখ থেকে বেকার ছেলে মেয়েদের কথা হারিয়ে গেছে ,হারিয়ে গেছে শিল্প স্থাপনের প্রতিশ্রুতি।সমাজবিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত বাংলা গড়তে রাজপথে প্রতিবাদ শ্লোগানে গর্জে ওঠার ডাক দেন তিনি।
সভার মঞ্চ থেকেই আওয়াজ উঠলো ভোট লুঠের মাধ্যমে গড়া বোর্ড বদলে দিয়ে উন্নত বোর্ড গড়ার আহবান সেই সঙ্গে উন্নয়নে মানুষের অংশগ্রহণ।এই দাবি গুলি সামনে রেখে সমাবেশ হয়ে উঠলো আরো প্রতিবাদী ।




