কাল থেকে আমাদেরকে নিয়ে দুই পক্ষই উল্টো পাল্টা সমালোচনা করছে।
নবগ্রাম পঞ্চায়েত এ শাখা সম্পাদক হাবিবুল শাহ। হাবিবুল শাহ এর সিপিআইএম কর্মী হিসেবে জীবনের কিছু ঘটনা:২০১১ সালের পর তৃণমূলের লিডাররা নির্দোষ হাবিবুল শাহ কে এ পুলিশ দিয়ে ৩ ঘণ্টা লাঠি চার্জ এবং ইলেকট্রিক শোক দিয়ে মারা করায়।হাবিবুল শাহের ছোট একটি পোল্ট্রি দোকান ছিল, সিপিআইএম করে বলে ওর দোকানে কেউ যেনো কোনো জিনিস না নেই তৃণমূল এ রা হুকুম জারি করে ছিল।
২০১৮ সালে ধর্মঘটে উখরা বাজারে হাবিবুল কে মেরে কোমর ভেঙে দেয় তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল নেতাদের দের কাছে মার খাওয়া পরেও সে তৃণমূল নেতাদের কাছে মাথানত করেনি।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে এর দিনে হাবিবুল শাহ কে বুথ এর ভিতরে ঢুকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীরা।
হাবিবুল এর আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে নবগ্রাম থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে একটা ফ্যাক্টরি তে লেবার এর কাজ করে। হাবিবুল শাহ একজন কট্টর সিপিআইএম কর্মী।
আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগেও ছিলাম আজও আছি আর ভবিৎসতেও থাকবো। তৃণমূল যদি চোর হয় বিজেপি একেবারে ডাকাত, তৃণমূল রাজ্যকে লুটছে আর বিজেপি দেশটকে লুটছে। আমরা দুই সরকারের বিরুদ্ধে আছি আর থাকবো।
গতকাল যা ঘটেছে স্বাধীনতা পতকাকে নিয়ে তাতে আমাদের কমরেডদের কোনো দোষ নেই!! আমদের লড়াই নীতি এবং সিপিআইএমের আদর্শের বিক্তিতে কোনো ব্যক্তিগত কোনো কারোর লড়াই নেই। কোনো বাইরের মানুষ আমাদের কাছে নিজের পায়ে হেঁটে আসে ভাইটি বলে কথা বলে তাকে আমরা অপমান করতে পারিনা কারন আমাদের বাবা-মা, গুরুজন এই শিক্ষা দেইনি ।
সেই জন্যই আমরা তাদেরকে দাদা বলতে বাধ্য হয়, রাজনীতির লড়াই আমরা রাজনীতি ভাবে করে এসেছি এবং ভবিৎসত এও করব।
নবগ্রাম শাখায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন কে নিয়ে কিছু বিজেপির বাঁদর এর এখন মুখ ফুটেছে, আমরা যদি তৃণমূল কে রাজ্য থেকে সরাতে পারি নিশ্চই দেশ থেকে বিজেপি কে সরাবো।
এই ঘটনায় অনেক বাম কর্মী বলেছেন যখন রাজ্য জুড়ে সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমেছে সিপিআইএম সেখানে পশ্চিম বর্ধমান সিপিআইএম জেলা সম্পাদকের খাস তালুকে এই ঘটনা রিতিমতন অসম্মানের।লড়াইয়ের বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে রিতিমতন প্রশ্ন ওঠে গেল।