" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory দিল্লিতে DYFI-এর কর্মসংস্থান কনভেনশন: বেকারত্ব মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক DYFI Holds Employment Convention in Delhi: Economists and Youth Leaders Call for United Action Against Unemployment //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

দিল্লিতে DYFI-এর কর্মসংস্থান কনভেনশন: বেকারত্ব মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক DYFI Holds Employment Convention in Delhi: Economists and Youth Leaders Call for United Action Against Unemployment

 



দিল্লি, ১৯ জুলাই ২০২৫: দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং যুব সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ দিল্লিতে এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থান বিষয়ক কনভেনশনের আয়োজন করে ডিওয়াইএফআই (Democratic Youth Federation of India) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। হরকিষান সিং সুরজিত ভবনে অনুষ্ঠিত এই কনভেনশনে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়ক, ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য এবং সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড এ. এ. রহিম উপস্থিত থেকে বর্তমান পরিস্থিতি এবং আগামী দিনের আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরেন।



অর্থনৈতিক বৈষম্য ও নীতির সীমাবদ্ধতা:

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়ক তাঁর বক্তব্যে ভারতের শ্রমবাজারের ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং সরকারি নীতিমালার সীমাবদ্ধতাগুলির ওপর আলোকপাত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামো বেকারত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং এর মোকাবেলায় একটি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক রোডম্যাপের আবশ্যকতা রয়েছে।

সরকারি ব্যর্থতা ও আন্দোলনের ডাক:

ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিগত ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ক্রমশ বাড়ছে এবং বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরির সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে তিনি দেশব্যাপী একটি সংগঠিত আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি আরও বলেন, বিজেপি সরকার প্রতি বছর ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও, বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।



শিল্পনীতি ও যুব আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা:

সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড এ. এ. রহিম দেশের যুব সমাজের চাকরি ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে উন্নততর শিল্পনীতি এবং একটি বৃহত্তর যুব আন্দোলনের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “দেশের যুব সমাজের চাকরি ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে উন্নততর শিল্পনীতি ও বৃহত্তর যুব আন্দোলন জরুরি।”

কনভেনশনের মূল আলোচনা:

কনভেনশনে উঠে আসা মূল বিষয়গুলির মধ্যে ছিল – সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই তরুণদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা ও শূন্য পদের সংকোচন, 'গিগ ইকোনমি'-র অনিশ্চয়তা এবং চাকরি সুরক্ষার সংকট, শিক্ষা খাতে সরকারি ব্যয়ের সংকোচন এবং সরকারের উদাসীনতা, এবং দেশের শিল্পায়ন ও গঠনমূলক সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির দাবি। আলোচনায় উঠে আসে যে, সরকারের বেসরকারীকরণ নীতিও কর্মসংস্থান সঙ্কটের একটি অন্যতম কারণ।


আগামী দিনের কর্মসূচী:

বেকারত্ব সমস্যার সমাধানে ডিওয়াইএফআই বেশ কিছু কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে - সংগঠিত আন্দোলন এবং 'যুব সত্যাগ্রহের' পরিকল্পনা, সরকারি ও প্রশাসনিক স্তরে ডেপুটেশন ও তথ্যভিত্তিক প্রচারাভিযান, এবং রাজ্য ও জেলা স্তরে কর্মসংস্থান সম্মেলন আয়োজন। ডিওয়াইএফআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আন্দোলনকে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া হবে এবং জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়া হবে।

ডিওয়াইএফআইয়ের কেন্দ্রীয় আহ্বানে আয়োজিত এই কনভেনশন থেকে দেশের শ্রমজীবী-তরুণসমাজকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বার্তা দেওয়া হয়। বক্তারা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “পরিবর্তনের জন্য সংঘবদ্ধ যুব শক্তিই একমাত্র ভরসা।”

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies