" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory মারঘেরিটাতে মোরাং সম্প্রদায়ের বিশাল বিক্ষোভ, আসামে উত্তেজনার মধ্যে এসটি স্ট্যাটাসের দাবি //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

মারঘেরিটাতে মোরাং সম্প্রদায়ের বিশাল বিক্ষোভ, আসামে উত্তেজনার মধ্যে এসটি স্ট্যাটাসের দাবি

 


তারিখ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

স্থান: মারঘেরিটা, আসাম, ভারত

আসামের তিনসুকিয়া জেলার মারঘেরিটা শহরে, যা তার কয়লা শিল্প এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ হাজার হাজার মোরাং সম্প্রদায়ের সদস্য বিশাল বিক্ষোভে অংশ নেয়। তারা তপশিলি উপজাতি (ST) মর্যাদা এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানায়। মোমবাতি এবং ব্যানার হাতে বিক্ষোভকারীদের এই সমুদ্র সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের পরিচয়, সংস্কৃতি এবং উন্নয়নের অধিকার সম্পর্কিত অভিযোগগুলো তুলে ধরে।

বিক্ষোভকারীরা জানান যে, আসামে এসটি মর্যাদার জন্য আবেদনকারী ছয়টি সম্প্রদায়ের মধ্যে মোরাংরা অন্যতম। বক্তারা বলেন, সাংবিধানিক সুরক্ষা থেকে তারা ঐতিহাসিকভাবে বঞ্চিত। তারা যুক্তি দেন যে, তাদের পরিচয় রক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য তপশিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি অপরিহার্য। ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে স্বায়ত্তশাসনের দাবি, যা সম্প্রদায়কে বৃহত্তর স্ব-শাসন প্রদান করবে, বিক্ষোভের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই বিক্ষোভ আসামের কয়লা বেল্টে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পটভূমিতে ঘটেছে, যেখানে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঝুঁকি অনেক বেশি। মারঘেরিটা, যা পাটকাই রেঞ্জের কাছে এবং মায়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এর ভূমিকা এবং কয়লা শিল্পের চলমান চ্যালেঞ্জসহ ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক উভয় সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু। সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নর্থ ইস্টার্ন কোলফিল্ডস (এনইসি) সংকটে ভুগছে। টিকাক ইস্ট নামে মাত্র একটি খনি বর্তমানে চালু রয়েছে, যা বছরে মাত্র ০.২০ মিলিয়ন টন উৎপাদন করে। এই অর্থনৈতিক পতন স্থানীয় উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে মোরাং সম্প্রদায়ের দাবি আরও জরুরি হয়ে উঠেছে।

বিক্ষোভটি আসামের বৃহত্তর রাজনৈতিক ভূখণ্ডেও মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), যারা রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গুজরাটের হিন্দুত্ববাদী নীতি এবং আসামের অভিবাসন সংক্রান্ত উদ্বেগকে একত্রিত করে একটি নতুন রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই কৌশল সম্ভবত মোরাং সম্প্রদায়ের মতো দাবিগুলোর প্রতি রাজ্য সরকার কীভাবে সাড়া দেবে তা প্রভাবিত করতে পারে।

মারঘেরিটার সমাবেশটি আসামের অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বীকৃতির জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ। কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী জুয়াল ওরাম জুন ২০২৫-এ নিশ্চিত করেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার মোরাং, মাতাক, চুতিয়া, কোচ রাজবংশী, তাই আহোম এবং চা উপজাতিসহ ছয়টি সম্প্রদায়ের এসটি মর্যাদা দাবির বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে, সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের অভাবে এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হতাশা বেড়েছে।



স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। বিক্ষোভে মোরাং সম্প্রদায়ের একজন মুখপাত্র বলেন, "আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা পিছপা হব না।" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে অসংখ্য মোমবাতির আলোয় একটি বিশাল জনসমাগম হয়েছে, যা তাদের দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক।

আসামে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, মারঘেরিটাতে মোরাং সম্প্রদায়ের এই প্রতিবাদ পরিচয় রাজনীতি, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং আঞ্চলিক উত্তেজনার জটিল মিথস্ক্রিয়াকে তুলে ধরছে। এই দাবিগুলোর ফলাফল রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোকে উল্লেখযোগ্যভাবে রূপ দিতে পারে, যা আগামী মাসগুলোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies