" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory জেএফকে বিমানবন্দরে 'টোরেঞ্জা' পাসপোর্টধারী নারী: AI-চালিত ভুয়া ভিডিওতে তোলপাড় //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

জেএফকে বিমানবন্দরে 'টোরেঞ্জা' পাসপোর্টধারী নারী: AI-চালিত ভুয়া ভিডিওতে তোলপাড়



নিউ ইয়র্ক:

২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি (JFK) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নারীর আগমন নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়েছিল যে, ওই নারী 'টোরেঞ্জা' (Torenza) নামের একটি কাল্পনিক এবং পৃথিবীর কোনো সরকারি নথিতে অস্তিত্বহীন দেশের পাসপোর্ট নিয়ে এসেছেন।

ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছিল

ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, এক নারী টোকিও থেকে জেএফকে বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং অভিবাসন কর্মকর্তাদের কাছে 'টোরেঞ্জা'র পাসপোর্টটি পেশ করেন। পাসপোর্টটি দেখে কর্মকর্তারা বিভ্রান্ত হলেও ওই নারী শান্তভাবে জানান যে, তিনি ককেশাস অঞ্চল থেকে এসেছেন। ভিডিওতে দেখানো পাসপোর্টটি ছিল ত্রুটিহীন—তাতে বায়োমেট্রিক চিপ, হলোগ্রাম এবং অন্যান্য অস্তিত্বহীন দেশের স্ট্যাম্পও ছিল। এই ভিডিওটি দ্রুত ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমান্তরাল মহাবিশ্ব (parallel universes), সময় ভ্রমণ (time travel) এবং সরকারি গোপনীয়তা (government cover-ups) নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দেয়।

ফ্যাক্ট চেক: AI-এর তৈরি প্রতারণা

যদিও এই ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়, একাধিক বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যম এবং ফ্যাক্ট-চেকার দ্রুত নিশ্চিত করেন যে পুরো ভিডিওটিই ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা তৈরি একটি সুপরিকল্পিত প্রতারণা বা 'হোয়াক্স'। জেএফকে কর্তৃপক্ষ, ইউএস কাস্টমস বা বর্ডার প্রোটেকশনের পক্ষ থেকে এই ধরনের কোনো যাত্রীর আগমন বা পাসপোর্টের বিষয়ে কোনো সরকারি বিবৃতি, নথি বা সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।

ফ্যাক্ট-চেকিং-এ দেখা যায়, ভিডিওটির উৎস মূলত পুরোনো টিভি শো এবং ডকুমেন্টারি থেকে নেওয়া ক্লিপগুলির সম্পাদিত অংশ, যার বর্ণনা (narration) তৈরি করতে AI সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে।

ঐতিহাসিক কিংবদন্তির প্রতিধ্বনি

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ভাইরাল ঘটনাটি ১৯৫৪ সালে টোকিওতে ঘটে যাওয়া 'ম্যান ফ্রম টরেড' (Man from Taured) নামক পুরনো আরবান কিংবদন্তির প্রতিধ্বনি। সেই কিংবদন্তিতেও এক ভ্রমণকারী একটি অস্তিত্বহীন দেশ থেকে এসেছেন বলে দাবি করেছিলেন এবং পরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। তবে 'টোরেঞ্জা' সংক্রান্ত কোনো নারী নিখোঁজ হননি বা কর্তৃপক্ষও বিভ্রান্ত হয়নি।

উপসংহার

অতএব, 'জেএফকে টোরেঞ্জা পাসপোর্টধারী নারী' ঘটনাটি কোনো বাস্তব বিমানবন্দর ঘটনা নয়, এটি ছিল একটি অত্যন্ত উন্নত মানের, ভাইরাল হওয়া ইন্টারনেট প্রতারণা, যা মূলত AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies