সম্ভাব্য প্রভাব ও সতর্কতা:
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (IMD) জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকবে এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ: ২৫ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ ভারত: তামিলনাড়ু, কেরালা, মাহে, লাক্ষাদ্বীপ, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ইয়ানামে ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ:
মালাক্কা প্রণালীতে সৃষ্ট এই ঘূর্ণাবর্তটি দ্রুত দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করেছে এবং বর্তমানে এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় এবং কবে আছড়ে পড়বে (ল্যান্ডফল), তা এখনও নিশ্চিত নয়। আবহাওয়াবিদরা এর গতিপথের ওপর কড়া নজর রাখছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরই স্পষ্ট হবে যে এটি তামিলনাড়ু-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল, ওড়িশা, নাকি বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হবে।
পূর্ববর্তী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব:
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড় 'মন্থা' অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছিল। এতে ব্যাপক শস্যহানি এবং প্রায় ৬০৩ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই দুর্যোগের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার এবং আবহাওয়া দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।