বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ও প্রগতিশীলদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ: কলকাতার রাজপথে বামপন্থীদের ধিক্কার মিছিল
ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির পাদদেশে বামপন্থী দলগুলোর প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল।
ওপার বাংলায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংখ্যালঘু এবং প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষের ওপর ক্রমবর্ধমান নৃশংস মৌলবাদী আক্রমণের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল কলকাতার রাজপথ। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় বামপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে এক বিশাল ধিক্কার মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মিছিলটি লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পরিক্রমা করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারী বামপন্থী নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের কণ্ঠে ছিল মৌলবাদ বিরোধী স্লোগান। "বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধ করো", "সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগানো চলবে না"—এই ধরণের প্ল্যাকার্ড হাতে হাজার হাজার মানুষ মিছিলে শামিল হন।
মূল পয়েন্টসমূহ
- ● ছায়ানট ও উদীচীর মতো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার তীব্র নিন্দা।
- ● ময়মনসিংহে শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার বিচার দাবি।
- ● বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বামেদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান।
সোচ্চার কলকাতার দাবি
দাবি ১
মৌলবাদী শক্তিকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে
দাবি ২
সংখ্যালঘু ও প্রগতিশীলদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা
দাবি ৩
অপরাধীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা
“
"বাংলাদেশে এক চরম অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে কোনো ধরণের সংখ্যালঘুর ওপর আক্রমণ মানেই তা গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।"
— মহম্মদ সেলিম
রাজ্য সম্পাদক, সিপিআই(এম)
সংহতির বার্তা
সাংস্কৃতিক সংহতি
কলকাতার শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও প্রগতিশীল নাগরিক সমাজ এই মিছিলে সংহতি জানান। তাদের বক্তব্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধূলিসাৎ করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে দুই বাংলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের এক হওয়া প্রয়োজন।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
বক্তারা সাফ জানিয়ে দেন যে, ধর্ম ও রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলার ফল কখনোই শুভ হয় না। সীমান্তের এপারেও যেন কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ওপার বাংলার পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে।



