নিজস্ব প্রতিবেদক | কলকাতা
জন্মদিন মানেই কেক কাটা, মোমবাতি জ্বালানো এবং তারপর ফুঁ দিয়ে তা নেভানো। যুগ যুগ ধরে এই প্রথাই চলে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও এই আনন্দময় প্রথাকে ঘিরে এক অন্ধকার ও রহস্যময় দিক তুলে ধরেছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়েছে, জন্মদিনে মোমবাতি নেভানো কোনো সাধারণ উদযাপন নয়, বরং এটি একটি 'ডার্ক রিচুয়াল' বা অন্ধকার আচার।
ভিডিওর মূল দাবিগুলো কী?
ভাইরাল ভিডিওটিতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর যুক্তি দেওয়া হয়েছে:
আলো বনাম অন্ধকার: ভিডিওর বর্ণনা অনুযায়ী, মানব সভ্যতায় আলো সবসময় জীবন এবং ইতিবাচকতার প্রতীক। অন্যদিকে অন্ধকার হলো মৃত্যুর প্রতীক। জন্মদিনের মতো শুভ ক্ষণে আলো নিভিয়ে অন্ধকার ডেকে আনা আদতে অশুভ।
মহাজাগতিক সংকেত: দাবি করা হয়েছে যে, ফুঁ দিয়ে আগুন নেভানোর মাধ্যমে আমরা মহাবিশ্বকে (Universe) এই সংকেত দিই যে আমাদের 'লাইফ ফোর্স' বা জীবনীশক্তি শেষ হয়ে আসছে।
ইচ্ছা পূরণ বা 'উইশ': আমরা সাধারণত মোমবাতি নেভানোর পর মনে মনে কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করি। ভিডিওটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যখন চারপাশ অন্ধকার এবং ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন, তখন এই ইচ্ছা আসলে কার কাছে পৌঁছাচ্ছে? আলোর অনুপস্থিতিতে এই প্রার্থনা কোনো অন্ধকার শক্তির কাছে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
ইতিহাস ও প্রতীকী ব্যাখ্যা
ভিডিওটিতে বলা হয়েছে, এটি একটি প্রাচীন প্রথা যা পরিকল্পিতভাবে মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে তারা জীবনের নতুন বছর অন্ধকারের মধ্য দিয়ে শুরু করে। বিষয়টিকে 'Soul Extinguishing Practice' বা আত্মাকে নিভিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছে।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই এই ব্যাখ্যা শুনে অবাক হয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, "এতদিন যা আনন্দের সঙ্গে করতাম, তার পেছনে এমন অন্ধকার যুক্তি থাকতে পারে তা ভাবিনি।" আবার অনেকের মতে, এটি কেবলই একটি কুসংস্কার বা মানুষের মনে ভয় ছড়ানোর চেষ্টা।
যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথা নিয়ে হঠাৎ এমন তাত্ত্বিক বিতর্ক জন্মদিনের আমেজকে কিছুটা হলেও রহস্যময় করে তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আগামী দিনে মানুষ এই 'আধুনিক' ব্যাখ্যার পর জন্মদিনের মোমবাতি নেভাতে কতবার ভাবেন।


