একতলার কিংবা দোতলার মাড হাউস এখানে রয়েছে।খড়ের ছাদ থেকে ঘরের ভেতরে যাবতীয় সৌন্দর্য্য সবটাই নিখুঁত ভাবে করা হয়েছে , শহরের কংক্রিটের জঙ্গলে থাকতে থাকতে কিছুটা আলাদা অনুভূতি পেতে চলেছে পর্যটকরা তা বলা বাহুল্য।একটু অবাক করার মতোই বই প্রেমীদের জন্য লাইব্রেরির ব্যবস্থা যা নিরিবিলি জায়গায় বই পড়ার আদর্শ জায়গা।
শীতের দেশে এই মাড হাউস গরমের অনুভূতি , যা প্ৰকৃতির স্পর্শে , এই ঘর গুলিতে বাথরুমে ঠান্ডা কিংবা গরম জলের সু বন্দোবস্ত রয়েছে।তথাকথিত সাজানো গ্রামেই রয়েছে ওপেন ক্যাফে যা প্রকৃতিকে আরো কাছে নিয়ে আসবে পর্যটকদের। আরো অবাক করবে আপনাকে সম্পুর্ন দেশীয় পদ্ধতিতে জাকুজি । খাবারের জায়গায়তেও কনসেপ্ট এর ছোয়া , মাটির জিনিসপত্রের ব্যবহার যেন পরিবেশকে আরো মাটির কাছে অনুভূতি তৈরি করবে।হাতে তৈরি হ্যান্ডিক্রাফটের কাজ দেখতে দেখতে চা খেতে পারবেন মনে হতেই পারে সময় কে পেছনে নিয়ে গেছেন ।পার্শ্ববর্তী গ্রামের মহিলাদের হাতের তৈরি ঘর সাজানোর জিনিষ যা বিক্রি করে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করছেন তারা।
পর্যটকরা শুধুই দেখবে আর ক্রয় করবে তা নয় ওয়ার্কশপে শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে।পর্যটকদের মনেই হবে না তারা শুধু দেখতে এসেছে কিছুটা সময় নিজেদের শৈল্পিক ভাবনা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। খাবারের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয় নজর দেওয়া হয়েছে খাদ্যের টেস্ট কিংবা পরিবেশন সবকিছুতেই যেন শিল্পের ছোয়া।
এক রাতের স্মৃতি পর্যটকরা কখনোই ভুলতে পারবে না , শহরের ব্যস্ততম দিনের মাঝে কনসেপ্ট গ্রামের মাড হাউসের স্মৃতি তাদের সেই অনুভূতি বাঁচিয়ে রাখবে তা বলাই বাহুল্য।
কায়া মাড হাউসটি একটি সংরক্ষিত বন দ্বারা বেষ্টিত এবং ক্যাম্পাসের ঠিক পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীর স্রোত রয়েছে। ক্যাম্পাসের একটি ট্রি হাউস থেকে সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন।
দেরাদুন থেকে ৩৩ কিমি দূরে অবস্থিত বাহুওয়ালা রোড দিয়ে গেলে ৫০ মিনিটেই পৌঁছে যেতে পারেন।গরম এর ছুটিতে পর্যটকরা একটু অক্সিজেন খুঁজছে তাদের জন্য অবশ্যই কায়া মাড হাউস। ২১০০ টাকা প্রতিদিন খরচে পেয়ে যাবেন প্রকৃতির কাছে থাকার অনুভূতি।
বুকিং এর জন্য
বুকিং এর জন্য ক্লিক করুন




