" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শপথে হুল দিবস //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শপথে হুল দিবস

হুল দিবস ভারতের মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম অধ্যায় ইতিহাসে রচিত , প্রতি বছর হুল দিবস স্মরণ হয় শহীদ ব্যক্তিত্বদের যাদের রক্তের বিনিময়ে হুল দিবস পালন হয় । বলা ভালো ১৯ শতকের ব্রিটিশ বিরোধী সংগঠিত বিপ্লব সাঁওতাল বিদ্রোহ ।যার সূচনা হয়েছিল ১৮৫৫ সালের ৩০ শে জুন। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়। ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজদের রাজস্ব ও কৃষি নীতির বিরুদ্ধে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে।

এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় চার মুরমু ভাই- সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব। এই আন্দোলন শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক আপোষহীন লড়াই।উদ্দেশ্য ছিলো ব্রিটিশ সৈন্য ও তাঁদের দোসর ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের বিভিন্ন নিয়মনীতি থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। সাঁতাল হুলের ইতিহাস হতে জানা যায়, দামিন-ই কোহ ছিলো সাঁওতালদের নিজস্ব অঞ্চল।

পাহাড় ও জঙ্গল দ্বারা বেষ্টিত অঞ্চলে পাহাড়িয়া, সাঁওতাল ও অন্যান্য বাসিন্দারা কৃষিকাজ করে জীবনযাপন করতেন। তাঁরা জমির জন্য কাউকে রাজস্ব দিতেন না। ঠিক এই সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে জমিদারদের একটি বাহিনী তৈরি করে যারা পাহাড়িয়া, সাঁওতাল ও অন্যান্য বাসিন্দাদের কাছ থেকে জোর করে খাজনা আদায় করা শুরু করে। খাজনা দেওয়ার জন্য তাদের মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হতো, আবার মহাজনদের অত্যাচারের মুখোমুখিও হতে হতো।

এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া চার ভাই সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব। তাদের নেতৃত্বেই ভগনাডিহি থেকে কলকাতার অভিমুখে পদযাত্রা করেছিল প্রায় ৩০ হাজার সাঁওতাল কৃষক। ভারতের ইতিহাসে যা ছিল প্রথম গণপদযাত্রা।
পদযাত্রার সময় অত্যাচারী মহাজন কেনারাম ভগত ও জঙ্গিপুরের দারোগা মহেশাল দত্ত ছয়-সাতজন সাঁওতাল নেতাকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করেন।শুরু হয় গণ সংগ্রাম যা প্রায় আট মাস স্থায়ী হয়।ইংরেজ সরকার সামরিক আইন জারি করলেও বিপ্লবের মুখে ১৮৫৬ সালের ৩ জানুয়ারি সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেয়।

লেফটেন্যান্ট ফেগানের পরিচালিত ভাগলপুরে হিল রেঞ্জার্স বাহিনীর হাতে সাঁওতালদের পরাজয় ঘটে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইয়ে সিধু নিহত হন এবং বিপ্লব সংগঠিত করার অপরাধে ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে ২৩ শে ফেব্রুয়ারি কানু মুর্মুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতৃত্ব যে শুধুই সিধু-কানু বা চান্দ-ভাইরোরা দিয়েছেন তা নয়, তাঁদের সঙ্গে সাঁওতাল নারীদের নিয়ে বিপ্লব করেছিলেন দুই বোন ফুলো মুরমু ও ঝানো মুরমু। ব্রিটিশ সেপাইরা ফুলো মুরমুকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করে তাঁর লাশ রেললাইনে ফেলে রেখে যায়। ইতিহাসের প্রথম বীরাঙ্গনা হিসেবে সাঁওতাল জাতিসত্তা তাঁকে আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

শোষণের বিরুদ্ধে এই লড়াই এর শহীদ দের স্মরণে প্রতিবছর ৩০ শে জুন স্মরণ করা হয় হুল দিবস উপলক্ষে।যে দিবস শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার ।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies