সমাবেশের শুরুতে লহরী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উপস্থাপনা জনসভাকে প্রাণচঞ্চল করে তোলে।সমাবেশের শুরুতে বক্তব্য রাখেন এরিয়া কমিটির সম্পাদক রাকেশ শর্মা , বক্তব্যে তীব্র ভাষায় আক্রমন করেন কেন্দ্রীয় সরকারের জন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ।ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।এছাড়াও রাজ্য জুড়ে গণতন্ত্র বিপন্ন , গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক দিলেন তিনি।গত দুর্গাপুর পুর নির্বাচনে নিরবিচ্ছিন্ন লুঠ দেখেছিল গোটাশহর এবারের নির্বাচনে লুঠ রুখতে মানুষের ঐক্য গড়ার ডাক দিলেন তিনি।
সিপিআইএম পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলী র সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার তুলে ধরেন আগামী পুর বোর্ড যদি বামেরা হাতে আসে কি বিকল্প নীতি গ্রহণ করা তার রূপরেখা।পুর বোর্ড মানুষের স্বার্থে পরিচালিত তার পুঙ্খনাপুঙ্খ চিত্র তুলে ধরেন , শহরের বয়স্ক মানুষের জন্য দায়বদ্ধতার নিরিখে চালু করবে শ্রীচরনেশু , ঠিক তেমনি ভাবে অনলাইনে যারা খাবার পরিবেশন করেন তাদের জন্য সেফ সেল্টার হোম করার পরিকল্পনা দেন।যাতে কাজের সময় কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারেন।এছাড়াও শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন কল্যানমুলক প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব দেন।এককথায় বামেদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তার বক্তব্যে ছড়িয়ে পড়ে।জনসভা তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে হলেও মাঠ ছাপিয়ে রাস্তায় জন সমাগম।এক কথায় বলাই যায় সিপিআইএম এর আহ্বানে দুর্গাপুরে যে ওয়ার্ড ভিত্তিক সভা হচ্ছে তাতে লোকের সমাবেশ বেশ চিন্তায় রাখলো শাসক তৃণমূলকে তা বলাই বাহুল্য।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুশান্ত ঘোষ তুলে ধরেন বিগত বামফ্রন্ট সরকারের জনমুখী প্রকল্পের কথা।এছাড়াও তিনি তুলে ধরেন কিভাবে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি গুলিকে নিয়ে শাসক তৃণমূলের রাজ্য দখলের চিত্র।তিনি বলেন বিগত বামফ্রন্ট সরকার শ্রমিকদের স্বার্থে যে সিধান্ত গুলো নিয়েছিল তৃণমূল ক্ষমতায় সব ধ্বংস করেছে। রাজ্যে ন্যূনতম গণতন্ত্রের কাঠামো ধ্বংস হয়েছে সেগুলির দখল নিয়েছে সমাজবিরোধীরা।রাজ্যে ঋণের বোঝা যে ভয়াবহ অংকে পৌঁছেছে গোটা রাজ্য দেনার দায়ে ।অবিলম্বে বাংলা বাঁচাতে রাজ্যের মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াই জরুরি সেই সঙ্গে বিকল্প রাজনৈতিক ভাবনা জরুরি বলে অভিহিত করেন তিনি।রাজ্যে একসময় যে সম্প্রীতির পীঠস্থান ছিল আজ তা ধংশপ্রায়, সাম্প্রদায়িক শক্তি গুলির উত্থান রাজ্যে ধর্মীয় বিভাজন ঐক্য কে বিনষ্ট করছে।যার দায়ভার বর্তাবে শাসক তৃণমূলের উপর । অবিলম্বে রাস্তায় নেমে রাজ্যের পুরোনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার ডাক দেন।
আজকের সমাবেশ ঘিরে যে উন্মাদনা দেখা গেল তাতে বলাই যায় শহরে পুর বোর্ড বদলের ভাবনা ওয়ার্ড জুড়ে শুরু হয়েছে।সেই ভাবনা সর জুড়ে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর সিপিআইএম।এরকম আরো সমাবেশের পরিকল্পনা করেছে সিপিআইএম।






