বিহারের জোট সমীকরণে পরিবর্তনের উৎস 

                                                                                                           শংকর পাল  

 বিহারে নতুন সরকারের মুখ্যমন্রী হতে চলেছেন নীতিশ কুমার সঙ্গে এবার উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মহা জোটের পক্ষ থেকে তেজস্বী যাদব , এই ঘটনাই আবার নতুন করে মহারাষ্ট্রের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।  সেখানেও নতুন সরকার গঠন এরকম ভাবেই হয়েছে তাই শপথ গ্রহণের সময় বিহার এই দুই পদের শপথ দেখবে।  বাকি মন্ত্রিসভার বিস্তার বেশ কিছুদিন পর হতে চলেছে।  এরই মধ্যে পাটনায় ধিক্কার সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি তাদের সরাসরি অভিযোগ নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে রাজ্যের মানুষের সাথে বিস্বাসঘাতকতার।  বিজেপি রাজ্য সম্পাদক ডক্টর সঞ্জয় জয়সোয়াল বলেন গোটা বিহার জুড়েই বিভিন্ন জেলায় তারা সভা সমাবেশ করবেন।  একাধিক বিষয় নিয়ে নীতিশ কুমারের জোট পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ  JDU-ভাঙানোর  মতন অভিযোগ এনেছেন নীতিশ কুমার।সমস্যার সূত্রপাত তারই দলের একজন সিনিয়র নেতা আরসিপি সিং, যিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন, জেডিইউকে তাঁর বিরুদ্ধে পরিণত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই তিনি রাজ্যসভায় আরসিপি সিং-এর মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করেছিলেন, যার অর্থ হল যে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। সপ্তাহান্তে, নীতীশ কুমারের সহযোগীরা প্রকাশ্যে আরসিপি সিংকে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন; প্রতিবাদে তিনি জেডিইউ ছাড়েন।

নীতীশ কুমার অনুভব করেছিলেন যে আরসিপি সিং তার অবস্থানকে দুর্বল করার জন্য বিজেপির দ্বিতীয় ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল, প্রথমটি হল গত সাধারণ নির্বাচনে নীতীশ কুমারের জন্য ভোট কাটার হিসাবে কাজ করার জন্য আরেক আঞ্চলিক নেতা চিরাগ পাসোয়ানের বিজেপির সমর্থন। . চেরাগ পাসোয়ান জেডিইউ-এর বিরুদ্ধে তার দলের প্রার্থীদের দাঁড় করিয়েছেন; লাভ করেছে বিজেপি। নীতীশ কুমার যখন চিরাগ পাসোয়ানের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছিলেন, বিজেপি এই ব্যাপারে তাকে সমর্থন  করতে অস্বীকার করেছিল।

নীতীশ কুমার অনুভব করেছিলেন যে অমিত শাহ বিহারে মহারাষ্ট্র মডেলের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করছেন। মহারাষ্ট্রে  উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন একনাথ শিন্ডে, তার দল, শিবসেনার একজন সিনিয়র নেতা, বিজেপির সাথে অংশীদারিত্বে একটি বিশাল বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার পরে। একনাথ শিন্ডেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়ে পুরস্কৃত করেছে বিজেপি।তাই আর দেরি না করে তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করে দেন নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষা করতে।