দেশের অন্যতম শীর্ষ পান মশলা ব্র্যান্ড ‘কমলা পসন্দ’ ও ‘রাজশ্রী’-এর মালিক পরিবারের অন্দরে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত এলাকা বসন্ত বিহারে নিজেদের বাসভবন থেকে উদ্ধার হলো শিল্পপতি কমল কিশোর চৌরাসিয়ার পুত্রবধূ দীপ্তি চৌরাসিয়ার (৪০) ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজধানীতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির একটি ঘর থেকে দীপ্তিকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে সাফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন দীপ্তি। তাঁর দুই সন্তান স্কুলে গিয়েছিল এবং স্বামী জিমে গিয়েছিলেন। দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ দীপ্তির স্বামী বাড়িতে ফিরে শোওয়ার ঘরে ঢুকতেই স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন।
তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট এবং একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নোটে বৈবাহিক জীবনে অশান্তি, সম্পর্কে ভালোবাসা ও বিশ্বাসের অভাবের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে নোটে মৃত্যুর জন্য কাউকে সরাসরি দায়ী করা হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
অন্যদিকে, দীপ্তির বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি ভিন্ন। মৃতার ভাই ও পরিবারের সদস্যরা দীপ্তির স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। পুলিশ এই অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে এবং তদন্তের স্বার্থে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
২০১০ সালে দীপ্তির সঙ্গে চৌরাসিয়া পরিবারের পুত্র অর্পিত ওরফে হারপ্রীত চৌরাসিয়ার বিয়ে হয়। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। বসন্ত বিহারে চৌরাসিয়া পরিবারের একাধিক বাংলোর মধ্যে একটিতে তাঁরা সপরিবারে থাকতেন।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার কোণসহ (Abetment to suicide) সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


