" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory ঐতিহাসিক অধিকার রক্ষার লড়াই: বনাঞ্চল পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে কালভরায়ান পাহাড়ে আদিবাসীদের অনির্দিষ্টকালের ঘেরাও কর্মসূচি //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

ঐতিহাসিক অধিকার রক্ষার লড়াই: বনাঞ্চল পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে কালভরায়ান পাহাড়ে আদিবাসীদের অনির্দিষ্টকালের ঘেরাও কর্মসূচি



কাল্লাকুরিচি, তামিলনাড়ু | নিজস্ব সংবাদদাতা

গত শতাব্দীর সামন্ততান্ত্রিক জায়গিরদারি প্রথার বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক লড়াইয়ের স্মৃতি উস্কে দিয়ে আজ তামিলনাড়ুর কালভরায়ান পাহাড়ে শুরু হলো এক বিশাল গণ-আন্দোলন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) বা সিপিআই(এম)-এর লাল পতাকার নিচে সমবেত হয়ে হাজার হাজার আদিবাসী মানুষ আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করেছেন। রাজ্য সরকার আদিবাসীদের প্রথাগত জীবিকার জমিগুলিকে 'সংরক্ষিত বনাঞ্চল' বা 'রিজার্ভড ফরেস্ট'-এ রূপান্তরিত করার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবিতেই এই প্রতিবাদ।

জেলার সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম এই কৃষি অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে রয়েছেন সিপিআই(এম)-এর রাজ্য সম্পাদক কমরেড পি. শানমুগাম। আন্দোলনকারীদের মূল আশঙ্কা, তাদের চাষের জমিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার অর্থ হলো আদিবাসীদের কার্যত জীবিকাহীন করে তোলা এবং বংশপরম্পরায় তারা যে জমিতে বসবাস করে আসছেন, সেখান থেকে তাদের উচ্ছেদ করা।

পাহাড়ের পাদদেশে বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কমরেড শানমুগাম বলেন, "কালভরায়ানের ইতিহাস হলো প্রতিরোধের ইতিহাস। ১৯৭৬ সালে নিপীড়ক জায়গিরদারি শাসন উচ্ছেদ করতে দীর্ঘ লড়াই করতে হয়েছিল। আজ আমরা এক নতুন ধরণের শোষণের সাক্ষী হচ্ছি। সরকার যেখানে দশকের পর দশক ধরে প্রতিশ্রুত জমির 'পাট্টা' দেওয়ার কথা, সেখানে তারা উল্টে এই কৃষকদের নিজেদের জমিতেই 'জবরদখলকারী' হিসেবে চিহ্নিত করার ষড়যন্ত্র করছে।"



আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, সরকারের এই পদক্ষেপ ২০০৬ সালের 'তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বনবাসী (বন অধিকার স্বীকৃতি) আইন'-এর মূল চেতনার পরিপন্থী। এই অঞ্চলের আদিবাসীরা পাহাড়ে মূলত ট্যাপিওকা (শিমুল আলু), মিলেট এবং কাঁঠাল চাষ করেন। বন বিভাগ এখন এই চাষের জমিগুলোকেই কঠোর সংরক্ষণ বিধির আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে।

এই অবস্থান বিক্ষোভের জেরে এলাকায় প্রশাসনিক কাজকর্ম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। পুরুষ, নারী ও শিশুরা মিলে ঘটনাস্থলেই অস্থায়ী রান্নাঘর তৈরি করে নিয়েছেন, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা পিছু হটবেন না।



সিপিআই(এম) নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয় এক আদিবাসী নেতা দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, "আমরা কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য চাইছি না, আমরা আমাদের বেঁচে থাকার সাংবিধানিক অধিকার দাবি করছি। যখন কোনো মানচিত্র ছিল না, তখন থেকে আমাদের পূর্বপুরুষরা এই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। আমরা কাগজের ওপর টানা কোনো রেখাকে আমাদের ইতিহাস মুছে ফেলতে দেব না।"

রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে মশাল এবং গগনবিদারী স্লোগানে আলোকিত হয়ে ওঠে বিক্ষোভস্থল। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘাত সমগ্র পূর্বঘাট পর্বতমালা জুড়ে বনাধিকার দাবির ক্ষেত্রে এক নতুন নজির স্থাপন করতে চলেছে।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies