" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory নক্ষত্রের বিদায়, শোকবিহ্বল বাংলাদেশ; খালেদা জিয়াহীন বিএনপি কি পারবে নেতৃত্বের সংকট কাটিয়ে উঠতে? //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

নক্ষত্রের বিদায়, শোকবিহ্বল বাংলাদেশ; খালেদা জিয়াহীন বিএনপি কি পারবে নেতৃত্বের সংকট কাটিয়ে উঠতে?

 



ঢাকা | ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কারান্তরীণ জীবন, অসুস্থতা আর আপসহীন সংগ্রামের পর অবশেষে অনন্তকালের পথে পাড়ি জমালেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮০ বছর বয়সী এই মহীয়সী নেত্রী। তাঁর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন একটি যুগের অবসান ঘটল, তেমনি এক গভীর শূন্যতা ও নেতৃত্বের সংকটে পড়েছে তাঁর হাতে গড়া দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

এক আপসহীন সংগ্রামের ইতি

১৯৪৫ সালে দিনাজপুরে জন্ম নেওয়া খালেদা জিয়া স্বামীর মৃত্যুর পর ধ্বংসস্তূপ থেকে বিএনপিকে পুনর্গঠিত করেছিলেন। দীর্ঘ নয় বছর রাজপথে লড়াই করে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন তিনি। আজ তাঁর সেই অকুতোভয় কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় শোকে স্তব্ধ পুরো জাতি। হাসপাতালের করিডোর থেকে শুরু করে নয়াপল্টনের কার্যালয়—সবখানে এখন কেবলই হাহাকার।

নেতৃত্বের সংকট ও তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন

বেগম জিয়ার প্রয়াণ এমন এক সময়ে হলো যখন বিএনপি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে আজই দেশে ফেরার কথা রয়েছে তাঁর বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। একদিকে মায়ের মৃত্যুশোক, অন্যদিকে ভঙ্গুর দলকে গুছিয়ে তোলার এক বিশাল হিমালয়সম চ্যালেঞ্জ এখন তাঁর কাঁধে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়া ছিলেন দলের ঐক্যের প্রতীক। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলে উপদলীয় কোন্দল বা কোনো বিভেদ মাথাচাড়া দেয় কি না, তা নিয়ে সাধারণ কর্মীদের মনে এক চাপা উদ্বেগ বিরাজ করছে।



স্মৃতিতে অমলিন 'দেশনেত্রী'

হাসপাতালের সামনে উপস্থিত এক প্রবীণ কর্মী চোখের জল মুছতে মুছতে বলছিলেন, "ম্যাডাম ছিলেন আমাদের সাহসের ঠিকানা। এখন আমরা কার কাছে গিয়ে দাঁড়াব? তারেক রহমান ফিরছেন ঠিকই, কিন্তু মা তো আর নেই।" ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া আইনি লড়াই, কারাবাস এবং পরবর্তী সময়ে গুরুতর অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি কখনো মাথা নত করেননি। এমনকি ২০২৬ সালের আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দল তাঁকে তিনটি আসনে প্রার্থী করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু নিয়তির অমোঘ বিধানে তিনি চলে গেলেন ভোটযুদ্ধের আগেই।

ভবিষ্যৎ কোন পথে?

খালেদা জিয়ার মৃত্যু কেবল একটি জীবনের অবসান নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতির এক অনন্য অধ্যায়ের সমাপ্তি। তারেক রহমান দেশে ফিরে দলকে কতটা ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবেন এবং মায়ের সেই 'আপসহীন' ভাবমূর্তি ধরে রাখতে পারবেন কি না, তার ওপরই নির্ভর করছে বিএনপির ভবিষ্যৎ।

আজকের এই কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে বাংলাদেশ হারিয়েছে তার এক প্রিয় নেত্রীকে। নীল শাড়িতে মোড়ানো সেই ধীরস্থির ব্যক্তিত্ব আর কখনো জনসভায় গর্জে উঠবে না, 'জিন্দাবাদ' স্লোগানে মুখরিত করবে না রাজপথ। বাংলাদেশের আকাশে এখন কেবলই শোকের ছায়া আর এক অনিশ্চিত আগামীর প্রশ্ন।


তথ্যসূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies